Image default
বাংলাদেশ

সেই পরাজিত প্রার্থীর টাকা ফেরতের স্ট্যাটাসের পর যা হলো…

টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাসাইলের পরাজিত সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিতরণকৃত টাকা ফেরত দিচ্ছেন ভোটাররা। এর আগে মঙ্গলবার সকালে ভোটের আগে বিতরণকৃত টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

nagad-300-250
মুহূর্তের মধ্যেই স্থানীয়দের মাঝে ভাইরাল হয় তা। পরে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই পরাজিত ওই প্রার্থীকে টাকা গ্রহণকারী ভোটাররা তাদের নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। পরে বুধবার তারা নিজ উদ্যোগে ভোটের আগে গ্রহণকৃত টাকা ফেরত দিতে শুরু করেন।

সূত্রমতে, ১১ নং ওয়ার্ড (বাসাইল) সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ভোটের পূর্বে উপজেলার ফুলকি ইউপির ৮, হাবলা ইউপির ৫, পৌরসভার ৫, সদর ইউপির ১১, কাউলজানী ইউপির ৯, কাঞ্চনপুর ইউপির ৫ ও কাশিল ইউপির ৭ জনকে টাকা প্রদান করেন। এদের প্রত্যেক ভোটারকে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১০ লাখ টাকা বিতরণ করেন ওই পরাজিত প্রার্থী।

এদের মধ্যে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর বুধবার হাবলা, সদর, কাঞ্চনপুর, কাউলজানী ও ফুলকি ইউপির অন্তত ৭ জন ভোটার দুই লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। আগামী দুই দিনের মধ্যে সব ভোটাররা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাম প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেছেন তারা।

ভোটের আগে কেন টাকা বিতরণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোটাররাই একা দেখা করার কথা বলে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করে আসছিলেন। তাই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লোভে পরে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করেছিলাম। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর পরই সবাই টাকা ফেরত দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উমর ফারুক বলেন, ভোট কেনা জঘন্য অপরাধ। এটা অন্যের অধিকার টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। একজন মানুষের মানবিক সত্তাকে হরণ করার শামিল। এক সময় যারা ভোট কিনতো বা বিক্রি করতো তারা এটা নিয়ে লজ্জাবোধ করতো। এখন ওই মূল্যবোধগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ভোট কেনাবেচায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন এমন অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে।

উল্লেখ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ১১নং ওয়ার্ড বাসাইলে মোট ভোটার ছিল ৯৪ জন। ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ওই সদস্য পদে মো. নাছির খান ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে, নিকটতম প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান পেয়েছেন ২১ ভোট, মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ১১ ভোট, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ ভোট ও আতিকুর রহমান কোনো ভোটই পায়নি।

Related posts

‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নাশকতার আশঙ্কা নেই’

News Desk

ঈদে মহাসড়কে পুলিশ চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

News Desk

উত্তরাধিকারী সনদ পেতে কাউন্সিলরের টাকা দাবির অডিও-ভিডিও ভাইরাল

News Desk

Leave a Comment