Image default
বাংলাদেশ

সারের দাম বাড়বে কিনা জানালেন কৃষিমন্ত্রী

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

সোমবার সকালে সচিবালয়ে সারের মজুত, দাম, ভর্তুকিসহ সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই তথ্য জানান। কৃষিমন্ত্রী এ সময় সারের দাম বৃদ্ধি হবে কিনা সে বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরকার উভয় সংকটে রয়েছে। একদিকে এতো ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে, অন্যদিকে সারের দাম বাড়ালে কৃষকের কষ্ট বাড়বে। তাদের উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। সবদিক বিবেচনা করে আমরা নীতিগতভাবে এখনও সারের দাম না বাড়ানোর পক্ষে।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ করছি, তবে দাম না কমলে এই বিশাল অংকের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা কঠিন হবে।
প্রয়োজনে সারে ভর্তুকির পরিমাণ কমানো বা সারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, মিডিয়াকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া যেতে পারে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সরকার সারের মূল্য ৪ দফায় কমিয়ে প্রতি কেজি টিএসপি ৮০ টাকা থেকে ২২ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, ডিএপি ৯০ টাকা থেকে ১৬ টাকা এবং ইউরিয়া ২০ টাকা থেকে ১৬ টাকা করেছে। সার, সেচ, বীজ, বালাইনাশকসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ উৎপাদন, আমদানি, বিতরণসহ সার্বিক ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে। কৃষি উপকরণের দাম যেমন কমিয়েছে তেমনি সহজলভ্য করে কৃষকের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোনো সংকট হয়নি। ফলে, কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দানাদার শস্যের উৎপাদন হয়েছে ৪৫৫.০৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৩৩.৬২ লাখ মেট্রিক টন এবং পাট ৭৭.২৫ লাখ বেল উৎপাদিত হয়েছে। এসব সাফল্যের পেছনে সারের দাম কমানো ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বিরাট ভূমিকা রেখেছে।

Related posts

রাতের আঁধারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো রূপগঞ্জ কবরস্থান, ‘ঝোপঝাড় পরিষ্কার’ বলছে রাজউক

News Desk

কুষ্টিয়া ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে আরও ৮ জনের মৃত্যু

News Desk

কুষ্টিয়া করোনায় ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment