Image default
বাংলাদেশ

সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে হবে এনআইডি

সর্বোচ্চ একমাসের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ইস্যুর পরিকল্পনা করছে সরকার। আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার (২ জুন) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৬ষ্ঠ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জনবলসহ এনআইডি অনুবিভাগ স্থানান্তরের জন্য যে নির্দেশ, সে প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে এটা স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করবে। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি, দিনে ৫০০ এনআইডি করার সীমা তুলে দিয়ে ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। কারণ অনেক মানুষের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে। সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে এনআইডি করে দিতে হবে।’

‘কোনো কারণে এনআইডি দেওয়া সম্ভব না হলে কী কারণে দেওয়া যাচ্ছে না তা এক মাসের মধ্যে লিখিতভাবে জানিয়ে দিতে হবে। নাগরিকরা ভোগান্তিতে পড়েছে। করোনার অজুহাত দেওয়া যাবে না। অফিস বন্ধের কথা বলা যাবে না। বাড়ি বসে কাজ করা যায়। খুব দ্রুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাতে কাজ করতে পারে সেই কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাজ ভোটার তালিকা তৈরি এবং ভোটকাজ পরিচালনা করা। কোনো দেশে এনআইডির কাজ নির্বাচন কমিশন করে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানান্তর করার পর পেন্ডিং কাজগুলো দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। আবেদন ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে হবে। আমরা জবাবদিহিতামূলক কার্যক্রম চালু করতে চাই।’ ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে মানসম্মতভাবে তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে, ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দিতে হবে। পৃথিবীরে কোনো দেশেই শরণার্থীদের নাগরিক সুবিধা থাকে না। তাদের থাকতে দেওয়া হয়, নিরাপত্তা দেওয়া হয়।’ ‘আমরা বলেছি, তাদের চিকিৎসার যেন কোনো ঘাটতি না হয়। তাদের থাকা, খাওয়া, পরার যা দরকার তা শতভাগ সরকার নিশ্চিত করবে। পকেট খরচ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। হয়ত না বুঝে বা কারো প্ররোচণায় বলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভাসানচর বিচ্ছিন্ন এলাকা। কিন্তু সেখানে প্রতিদিনই বহুসংখ্যান নৌযান যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। এসব বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো নাগরিকই বিনা অনুমতিতে সেখানে যেতে পারবে না। যাতায়াতের যেসব বাহন আছে সেগুলো বন্ধ থাকবে। সাংবাদিক বা অন্য কেউ সেখানে যেতে চাইলে সরকারের অনুমতি নিয়ে যাবেন।’

‘অনেকে বলছেন, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিয়েছি। এরা যৌথভাবে বিষয়টি দেখবেন। যদি কাউকে পাওয়া যায় তাকে ধরে ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তাদের ভাসানচরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’

যারা কক্সবাজার বা অন্য এলাকায় রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য চারদিকে ওয়াল নির্মাণের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে, সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হবে। অবৈধ কর্মকাণ্ড যাতে বন্ধ হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

Related posts

স্যালাইন সরবরাহ করছে না এসেনসিয়াল ড্রাগস, স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে ‘কৃত্রিম সংকট’

News Desk

পাহাড়ে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয় উপভোগ করতে পর্যটকের ভিড়

News Desk

বাংলাদেশের উন্নয়ন সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে: প্রতিমন্ত্রী খালিদ

News Desk

Leave a Comment