Image default
বাংলাদেশ

যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহজাদপুর, চৌহালী ও কাজিপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।

শনিবার (৩ জুলাই) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার আব্দুল লতিফ বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্র স্রোতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে শহররক্ষা বাঁধ এলাকার বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন এসব এলাকার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বীজতলা, সবজি বাগান, পাট ও তিলক্ষেত। চৌহালীর বিনাইন গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা চোখের সামনে সবকিছু গ্রাস করে নিচ্ছে। ভাঙনের কারণে আমরা ঘরবাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত। গত বছরে ভাঙনে ঘরবাড়ি সরিয়ে এনে এখনো ঠিকভাবে দাঁড় করাতে পারিনি। আবারও ভাঙনে সরিয়ে নিতে হচ্ছে।

একই গ্রামের শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় এরই মধ্যে অন্তত ১৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। আরও অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙনের মুখে রয়েছে। তবুও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেখা পাচ্ছি না। বাঁধ নির্মাণের কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।

চৌহালী উপজেলার ভাঙনরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিনাইন এলাকায় ভাঙন রোধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। চৌহালী দক্ষিণ এলাকা রক্ষায় ৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এ এলাকায় ভাঙন থাকবে না।

 

Related posts

হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রামে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির মিছিল, ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

News Desk

নীলফামারীতে ভূমি সেবা সপ্তাহ শুরু

News Desk

রামেকর করোনার ইউনিটে ১২ জনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment