শেরপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে শত শত একর আমন।
এ ছাড়া ঝিনাইগাতী শেরপুরের যোগাযোগকারী একমাত্র আঞ্চলিক সড়কটি দিয়েও পানির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। সোমেশ্বরী নদীর দুই পাড়ে কয়েকশ বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাহাড়ি ঢলের পানির তোড় লক্ষ্য করা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র এক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সংস্কার করলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ার ফলে বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার অংশ প্রবল পানির তোড়ে ভেঙে ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, গত দুই দিনের টানা বর্ষণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানি শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে চার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম রাসেল বলেন, ইতিমধ্যে মহারশি নদী রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের বন্যা দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও গোখাদ্য মজুত রয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।