Image default
বাংলাদেশ

ভারত সীমান্তে কড়াকড়ি চায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি

ভারতে দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। অক্সিজেনের অভাবে অনেক হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর খবর আসছে।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে মনে করছেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ।গতকাল শনিবার তিনি এ কথা জানান।

ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে খুব বেশি যাতায়াত হলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অবশ্যই থাকে। আমরা বর্ডারে কড়াকড়ি করতে বলছি। আসা-যাওয়া সীমিত করতে হবে। এর মানে একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ করবেন না। কোনোরকম পর্যটন, বিনোদন বা সাধারণ কারণে যাতায়াত বন্ধ করা যেতে পারে।’ অধ্যাপক সহিদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি, সীমিত করতে না পারি এবং কোয়ারেন্টিন করতে না পারি তাহলে এটা তো ছড়িয়ে পড়বেই।’ বিষয়টি নিয়ে জাতীয় কমিটির সদস্যরা এর মধ্যে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সরকারকে জানানো হবে। আমরা এখনও সুপারিশ করিনি। তবে করবো। সদস্যদের মিটিংয়ে এটা আলোচনা হয়েছে।’

তবে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তে বর্ডার বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যারা ভারত থেকে আসবে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এটার বিকল্প কিছু নাই।’ গতকাল ভারতে রেকর্ড তিন লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিন তিন লাখের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশটির সরকার।

শনাক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে রেকর্ড দুই হাজার ৬২৪ জন রোগী মারা গেছেন বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ জনসংখ্যার এই দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনে পৌঁছেছে।

Related posts

ভগবান বিষ্ণুর রাম অবতার: নেপথ্যের কাহিনি

Sanjibon Das

একদিনের ব্যবধানে ২০ টাকা কমলো বেগুনের দাম

News Desk

উখিয়া-টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান

News Desk

Leave a Comment