Image default
বাংলাদেশ

বিধিনিষেধ : কোথাও কঠোর-কোথাও ঢিলেঢালা

করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের ৬ষ্ঠ দিনে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। এ অবস্থায় কোথাও ঢিলেঢালা আবার কোথাও কড়াকড়ি বিধিনিষেধ পালন হতে দেখা গেছে। কোনো কোনো সড়কে আবার যানবাহনের লম্বা যানজটও তৈরি হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হলেও সেগুলোতে দায়িত্বরতদের তৎপরতা তেমন নেই। দুই-তিনটি স্থানে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলেও বাকি চেকপোস্টে বাধাহীন যান চলাচল করতে দেখা গেছে। মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে এবং গাবতলীতে বসানো চেকপোস্টে কড়াকড়ি থাকলেও টেকনিক্যাল মোড, মিরপুর-২ নম্বর, মিরপুর ১০ ও ১২ নম্বরে শিথিলতা দেখা গেছে।

মিরপুর ১০ নম্বর মূল পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট নূর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ভোর থেকে ডিউটি করছেন। এ কারণে কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন। রাস্তায় গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় সকলকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয় না। তবে সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ যানবাহন আটকে গাড়ির কাগজপত্র ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১০টি মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে বিজয় সরণিতে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখা গেছে, ছয়জন পুলিশ সদস্য এখানে দায়িত্ব পালন করলেও মাঝে মাঝে দুয়েকটি ব্যক্তিগত গাড়ি আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে। কী কারণে মানুষ বের হচ্ছে তা তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। কাগজপত্র ঠিক থাকলে যেতে দেয়া হচ্ছে।

সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট শিল্পির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ভোর থেকে এখানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাদের সন্দেহ হচ্ছে তাদের আটক করে কাগজপত্র দেখে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। গাড়ির কাগজ ঠিক না থাকায় ৬টি মামলা দেয়া হয়েছে।

তেজগাঁও রোডের বিজি প্রেসের সামনে মূল সড়কের দুই পাশে বসানো চেক পোস্টে কড়াকড়ি অবস্থা দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি গাড়িকে আটকে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। অনেক গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করতেও দেখা গেছে। এ কারণে রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। লম্বা যানজটে গাড়িতে বসা মানুষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর যেতে পারছেন।

এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী ইফতেখার বলেন, জরুরি সেবার আওতা ছাড়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যারা বের হয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যৌক্তিক কারণ থাকলে যেতে দেয়া হচ্ছে। না হলে মামলা দেয়া হচ্ছে। তবে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকে জরুরি প্রয়োজন বের হলেও কেউ কেউ আবার নানা অজুহাতে বের হচ্ছেন। এছাড়া মহাখালী, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের চেকপোস্টগুলোতে পুলিশের কঠোরতা লক্ষ করা গেছে।

Related posts

বাজেটে মেগাপ্রকল্পেই বেশি নজর সরকারের

News Desk

এক ঘণ্টার বৃষ্টি পানি নামতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা

News Desk

৪ বছরেও শেষ হয়নি সেতুর কাজ, উঠতে হয় মই দিয়ে

News Desk

Leave a Comment