Image default
বাংলাদেশ

বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বানে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র পাচারকারী ও হত্যাকারী হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানানোর কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মানবাধিকারের কথা বলে হত্যাকারীদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তারা দুর্নীতিবাজ, সাজাপ্রাপ্ত এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, অর্থ পাচারকারী, অস্ত্র পাচারকারী আর গ্রেনেড হামলাকারী, আইভি রহমানের হত্যাকারী। জিয়াউর রহমান ছিল আমার বাবার হত্যাকারী। আর এদের সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে, আলোচনা করতে হবে? আবার মানবাধিকারের কথাও বলে- এটা কেমন ধরনের কথা সেটাই আমি জিজ্ঞাস করি।

শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী মহিলা লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে বড় দুই দলকে আলোচনায় বসতে বিশিষ্টজনদের আহ্বানের জবাবে শেখ হাসিনা পালটা এসব প্রশ্ন রাখেন।

সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা কৃক।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগই এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা পরপর তিনবার ক্ষমতায় এসেছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।

সংলাপের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অনেকেই বলেন- ডায়ালগ করতে হবে। কাদের সঙ্গে? ওই বিএনপি, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, সাজাপ্রাপ্ত আসামি, যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে, যে খালেদা জিয়া বলেছিল- শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় যাবে না?

তিনি বলেন, আল্লাহতাআলা এ ধরনের গর্ব করা পছন্দ করেন না। আর বাংলাদেশের মানুষ তো একেবারেই পছন্দ করে না। সেজন্য খালেদা জিয়ার মুখের কথা তার বেলাই লেগে গেছে। এদের সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে? আলোচনা করতে হবে?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র আছে। নির্বাচন কমিশন আছে। যাদের ইচ্ছা নির্বাচন করবে। আর নির্বাচন করার মতো শক্তি যদি কারো না থাকে, তারা হয়ত নির্বাচন করবে না; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করবে, তারা ভোট দেবে। আর ভোট চুরি করলে তারা মেনে নেয় না। খালেদা জিয়া ভোট চুরি করেছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে; বাংলাদেশের মানুষ তাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়ে ছিল। তিন-তিনবার ক্ষমতায় আসতে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করেছিল; কিন্তু দেড় মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ৩০ মার্চ জনগণের আন্দোলনে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল ভোট চুরির অপরাধে।

Related posts

ঝিনাইদহ সুস্বাদু ও মিষ্টি আঙ্গুর চাষ করে সফলতা

News Desk

দাম কমবে জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের

News Desk

পাঠ্যপুস্তকে এক নেতা ছাড়া অন্য কারও নাম নেই : মির্জা ফখরুল

News Desk

Leave a Comment