Image default
বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত সীমানা পিলারের পুনঃস্থাপন কাজ শুরু

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকায় বাংলাদেশ-ভারতের সীমানা চিহ্নিত করা ও সীমান্ত পিলার পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করেছে দুই দেশের যৌথ প্রতিনিধি দল। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কিসামত ছাতনাই গ্রামে ৭৯৭ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারটির স্থান চিহ্নিত করে তা পুনঃস্থাপন করা হয়।

তিস্তা নদী এলাকায় দুই দেশের ভূমি জরিপ করে সীমানা চিহ্নিত করা ও সীমান্ত পিলার পুনঃস্থাপনের পাঁচ দিনের কর্মসূচির আজ ছিল প্রথম দিন।

এ কাজে ভারতের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন- পশ্চিম বঙ্গের ল্যান্ড রিক্যুইজিশন অ্যান্ড সার্ভে অধিদফতরের পরিচালক অভানিন্দ্র সিং। এদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বে রয়েছেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। ওই সীমান্ত পিলার স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনসহ উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।

জানা গেছে, তিস্তার তীরবর্তী দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। ফলে তিস্তা নদীর উজান ও ভাটিতে উভয় দেশের চরগ্রামে বসবাসরত পরিবারগুলো চরের জমিতে ফসল আবাদসহ স্বাভাবিক চলাচলে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি সীমানা নিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরাও মাঝে মাঝে বিপাকে পড়েন। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে উভয় দেশের পক্ষে যৌথ প্রতিনিধি দল সীমানা জরিপ করে সীমান্ত পিলার পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশে ভারতীয় পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল গত শনিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীতে পৌঁছেন।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য রংপুর বিভাগীয় জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আজমল হোসেন জানান, যৌথ ওই প্রতিনিধি দল সোমবার সকালে ভারতের অংশে সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে ৭৯৮ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারটি স্থাপন করা হবে।

তিনি আর জানান, জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যৌথ ওই প্রতিনিধি দলটি অবস্থান করে ভারতের অংশে কাজ করবে।

Source link

Related posts

বিদ্যালয় নয় যেন গরু-ছাগল ও ভেড়ার চারণভূমি!

News Desk

বৃষ্টির দেখা নেই, আমন রোপণে দুশ্চিন্তায় কৃষক

News Desk

সাগরদাঁড়ীতে উদ্বোধন হলো সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা

News Desk

Leave a Comment