নিথর দেহে মায়ের কাছে ফিরলেন মাসুদ
বাংলাদেশ

নিথর দেহে মায়ের কাছে ফিরলেন মাসুদ

সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাসুদ রানা। এ ঘটনায় মা জমিলা বেগম আহাজারি করে বলেছিলেন, ‘আমার বাবারে কেউ আইনা দেও, আমি দেখমু। বাবা তো আর আমারে মা মা কইরা ডাকবো না।’ অবশেষে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে মায়ের কাছে ফেরেন মাসুদ। তবে নিথর দেহের মাসুদকে দেখে মায়ের আহাজারিতে কেউ চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি। 

‘বাবাতো আর টেহা পাডাইবো না’ 

স্বজনরা জানান, ভোর ৬টার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বয়সিং গ্রামে মাসুদের মরদেহ পৌঁছে। পরে সকালে বাড়ির উঠানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় তার মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানের আহাজারিতে সবার চোখে পানি আসে। মাসুদ রানা (৩৫) বয়সিং গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে। 

এর আগে শনিবার, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মাসুদ গুরুতর দগ্ধ হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিন চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে তিনি মারা যান। 

কৃষক দম্পতি খলিলুর রহমান ও জমেলা বেগমের তিন ছেলের মধ্যে সবার বড় মাসুদ রানা। ৫ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে তিনি ২০১৫ সালে দেশে ফেরেন। পরে কনটেইনার ডিপোর একটি কোম্পানিতে গাড়িচালকের চাকরি নেন তিনি। 

মাসুদের দুই বছর বয়সী এক ছেলে এবং সাত বছর বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে। স্ত্রী সুমি আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে সীতাকুণ্ডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাসুদ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অকূল পাথারে পড়েছে পরিবারটি। 

 

Source link

Related posts

একসময়ের খরস্রোতা নদী পরিণত হয়েছে মরা খালে

News Desk

বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

News Desk

ডিসেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে: রিজওয়ানা হাসান

News Desk

Leave a Comment