দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
বাংলাদেশ

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট প্রান্তে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের বিআইডব্লিউটিএর ৪০ টাকা ভাড়ার প্রবেশ পথের টিকিট কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।

এদিকে, সকাল থেকেই ফেরিঘাটে থেমে থেমে যাত্রীরা এসে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে ছোট গাড়ির সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো।

মধুখালি থেকে ঢাকামুখী যাত্রী হেমায়েত হোসেন বলেন, ঈদে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। অফিসের ছুটি শেষ হলে সকালে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে লঞ্চঘাটে এসেছি; পথে ও ঘাটে কোনোরকম ভোগান্তি নেই। ভালোভাবেই ঢাকায় যেতে পারবো।

যশোর থেকে আসা সাভারগামী যাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, সাভারের নবীনগরে গার্মেন্টে চাকরি করি। রবিবার সকালে অফিস করবো বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে রওনা হয়েছি। লঞ্চঘাটে ভোগান্তি নেই বলে জানান এ নারী।

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট মালিক সমিতির দায়িত্বরত ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন বলেন, প্রতিটি লঞ্চে আমাদের যাত্রী সংখ্যা নির্ধারণ করেই ঘাট থেকে ছাড়ছে। লঞ্চে বাড়তি কোনও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। আমরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্নে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগের ঘাট তত্ত্বাবধায়ক শিমুল ইসলাম বলেন, এ নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলছে। শনিবার সকাল থেকে কর্মমুখী মানুষ ছুটতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় সবাই স্বস্তিতেই কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়

বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সালাহ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। বর্তমানে ঘাটে কোনও যানবাহনের সিরিয়াল নেই। ঘাটে আসা মাত্রই যেকোনও যানবাহন সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান জানান, শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়লেও ঘাটে কোনও প্রকার ভোগান্তি নেই। মানুষ সরাসরি ঘাটে এসে ফেরি ও লঞ্চে নদী পার হতে পারছে। এ ছাড়াও ঘাটের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঈদের আগে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। ঘাটে চুরি, ছিনতাই, দালাল ও যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, মানুষ ঈদ আনন্দ শেষে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে যেতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, ঘাটে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ সমন্বয় করে কাজ করেছে।

Source link

Related posts

বইন্যার সময় মোগো আশ্রয় নেওয়ার জায়গা হইলো

News Desk

চট্টগ্রামে ঘরের ভেতর পানি

News Desk

বক্তা আমির হামজা গ্রেপ্তার

News Desk

Leave a Comment