সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরপিন টিলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। একশ্রেণির ‘পাথরখেকো’ প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে। এ অবস্থায় এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র প্রতিদিন এক্সক্যাভেটর মেশিন দিয়ে উত্তোলন করছে পাথর। সেখানে টিলার ভূমির পাশাপাশি সমতলভূমি থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।
শামীম আহমদ নামের একজন ভূমি মালিক জানান, পাথরখেকোদের কাছে তারা অনেকটা অসহায়। পাথর উত্তোলনকারীরা নির্বিচারে সেখান থেকে পাথর উত্তোলন করছে। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেখান থেকে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পাথর উত্তোলন করে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ ট্রাক পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমও জানিয়েছেন, শাহ আরপিনে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে সোমবার তিনি সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছেন। যেকোনও মূল্যে শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংস করে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হবে। একটি অপরাধী চক্র শাহ আরেফিন টিলাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ‘পাথর উত্তোলনের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, যতই শক্তিশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসবো। কারণ তাদেরও দায়িত্ব আছে তারা শুধু জনপ্রতিনিধি নন, তারা সরকারেরও প্রতিনিধি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক কাসমির রেজা বলেন, ‘শাহ আরপিনের পরিবেশ ধ্বংসের খবর পুরনো। বার বার এ টিলা কাটা নিয়ে আলোচনা হলেও এটি বন্ধ হচ্ছে না। এর সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের মূলোৎপাটন করতে হবে।’ এ ব্যাপারে প্রশাসনের আন্তরিকতাও প্রশ্নবিদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ জানান, অভিযান চালানোর সময় পাথর উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

