চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি
বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, জনজীবনে অস্বস্তি

চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবীরা। শনিবার (০৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ১ ও ৩ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

আবহাওয়া অফিস বলছে, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, রাঙামাটি, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের বাকি অংশ, রংপুর এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ ডিগ্রি এবং রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ৪২ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাকে খুব প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বলা হয়।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বইতে থাকায় জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। প্রচণ্ড গরম অনুভূত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। দাবদাহ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ ছাতা মাথায় বা গাড়িতে চলাচল করছেন। কৃষিকাজের শ্রমিকদের অনেককে ক্লান্ত দেহে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। দিনের বেলায় ঈদের কেনাকাটাতেও ভাটা পড়েছে। রাতে কেনাকাটা করছেন অনেকে। 

তীব্র গরমে অস্বস্তির কথা জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ডিগ্রি মাঠের কৃষক চুন্নু মিয়া বলেন, ‘যে গরম এতে করে মাঠে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গরুও মাঠে থাকছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হতো।’

শহরের রিকশাচালক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম। কোথাও দাঁড়ানো যাচ্ছে না। গরমের কারণে মানুষজন রাস্তায় নেই। ফলে আয় কমেছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘টানা পাঁচ দিন ধরে মাঝারি তাপপ্রবাহের পর আজ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আতাউর রহমান মুন্সি বলেন, ‘অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমেছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়া ভালো। এ সময়ে প্রত্যেককে পানিসহ বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে। চা-কফি এড়িয়ে ফলমূল খেতে হবে। তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে হবে। শিশু-কিশোর ও বয়স্কদের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।’

Source link

Related posts

ড্রেনের নিচে কাঁদছিল ৩ কিশোর, উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস

News Desk

ভাসানচরে যেতে হলে সরকারের অনুমতি লাগবে

News Desk

এক জেলার ১২টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, রোগীদের ভোগান্তি

News Desk

Leave a Comment