চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ২৬ রুটে বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ
বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ২৬ রুটে বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বাস বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ‘রুট পারমিটবিহীন’ বাস চলাচল বন্ধসহ আট দফা দাবিতে ২৬টি সড়কে ১২ ঘণ্টার এই পরিবহন ধর্মঘট চলছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল-কক্সবাজার-বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই ধর্মঘট ডেকেছে।

এদিকে, ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, বান্দরবান এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের রুটগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজারগামী এবং কক্সবাজার থেকে গন্তব্যে ফিরতে চাওয়া পর্যটকরা। বাস সার্ভিস না থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশার কদর বেড়েছে। অভিযোগ উঠেছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ারও।’

সংঘটনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবিতে এ ধর্মঘট ডেকেছি। এর আগে, গত ৯ অক্টোবর একই দাবিতে দুই ঘণ্টার প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনও সাড়া না পাওয়ায় আজ কক্সবাজার, বান্দরবানসহ ২৬টি রুটে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছি। এতেও যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া না যায় তাহলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।’

সুযোগ বুঝে ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকাচ্ছে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা

তাদের আট দফা দাবিগুলো হলো- সাধারণ বাসকে ডাবল ডেকার বাস (স্লিপার কোচ) বানিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফের অপ্রশস্ত সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা, চট্টগ্রাম জেলার বাইরে থেকে আসা এসি/নন এসি বাসগুলোতে লোকাল রুটের যাত্রী পরিবহন বন্ধ করা, মহাসড়ক ও উপসড়কে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, টমটম চলাচল বন্ধ করা, মহাসড়কের পাশে থাকা অবৈধ হাট-বাজার উচ্ছেদ করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম একই ট্রাফিক আইনে জরিমানা বৈষম্য নিরসন করা, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা, পুলিশের রিকুইজিশন বাণিজ্য বন্ধ করা, চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সংস্কার ও কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করা।  

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে সড়কে কোনও বাস চলাচল করছে না। যারা দূরদূরান্তে যাচ্ছেন তারা ছোট পরিবহনে কিছু কিছু পথ যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে হলে একাধিক গাড়ি পাল্টাতে হচ্ছে। তার ওপর যাত্রীদের গাড়ি পাওয়ার জন্য হাঁটতে এবং অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।’

Source link

Related posts

ডিভোর্সপত্রে সই নিতে এসে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ

News Desk

নানা কারণে স্থবির খাগড়াছড়ির পর্যটন, ক্ষতির মুখে হোটেল ও পরিবহন

News Desk

২৬ টাকার তরমুজ খুচরা বাজারে ১৫০

News Desk

Leave a Comment