খুলনা মহানগরীতে খাদিজা আক্তার রুনু (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার মধ্যরাতে খানজাহান আলী থানাধীন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গ্যারিসন লাল পিলার সংলগ্ন মাত্তমডাঙ্গা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসান জানান, মাত্তমডাঙ্গার মৃত শহীদদের কন্যা রুনুর সাথে ডুমুরিয়ার এলাকার মামুনের সাথে প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের কোন সন্তানাদি ছিলো না, মাত্তম ডাঙ্গার মিরাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত। গৃহবধূ খাদিজা আক্তার রুনু গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতো। তার স্বামী মামুন পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন।
নিহত খাদিজার মা আমেনা বেগম বলেন, রবিবার দুপুরের পর রুনুর এবং তার স্বামী মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেই। ফোন দেয়ার পরও রিসিভ হয় না, পরে দুই জনের মোবাইলে বন্ধ পেয়ে ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসানের কাছে সন্ধ্যার দিকে যায়, এসময় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে রুনুর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখি রুমের মাঝে রুনুর মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসান থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে কেএমপি’র ডিসি নর্থ মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার দৌলতপুর জোন অমিত বর্ধন, খানজাহান আলী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাসসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যায় । নিহত রানুর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য খুমেক হাসপাতালের পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বাড়ির মালিক মেরাজ বলেন, কিছুদিন পরপরই সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
সূত্র : দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন
