‘কোক থেরাপিতে’ কাজ না হলে মলম লাগিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিতো তারা
বাংলাদেশ

‘কোক থেরাপিতে’ কাজ না হলে মলম লাগিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিতো তারা

সিএনজি অ‌টো‌রিকশায় যাত্রী সেজে বসতো চার জনের একটি দল। সামনে চালক ও তার পাশে দুই জন, পেছনের আসনে একজন। বিশেষ করে তাদের টার্গেট নারী যাত্রীদের গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল। যেকোনো স্থানে যাবে বলে নারী যাত্রীদের অ‌টো‌রিকশায় তুলতো। চলার পথে হঠাৎ অ‌টো‌রিকশা থেকে চক্রের কোনও এক সদস্য মাল্টা ফেলে দিতো। তখন যাত্রীকে ওই মাল্টা উঠাতে বলতো। মাল্টা উঠাতে গেলেই টান দিয়ে নিয়ে যেতো যাত্রীর স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল। এতে কাজ না হলে কৌশলে যাত্রীকে পান করাতো চেতনানাশক কোক। এটিকে ‌‘কোক থেরাপি’ বলা হয় তাদের ভাষায়। এতে ব্যর্থ হলে সরাসরি নাকে মলম লাগিয়ে সবকিছু লুটে নিতো চক্রটি। 

অবশেষে শনিবার রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার তলাগ্রাম এলাকার ভাউয়াল বাড়ির পাশ থেকে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি অ‌টো‌রিকশা জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশকে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায় চক্রের সদস্যরা। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো—মো. রাসেল (২৭), সেলিনা আক্তার শিল্পী (৪৫), মো. লিটন মিয়া (২৩), মো. সুমন (৩০), মো. মারুফ ওরফে আশিক (৩১) ও সুমাইয়া ওরফে শিউলী (১৯)। তাদের কাছ থেকে ছয় পিস মাল্টা ও বিভিন্ন ধরনের চেতনানাশক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মারুফ ওরফে আশিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বরুড়ার বিভিন্ন এলাকার এসব বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করতো।

বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘গ্রেফতারের পর তাদের বরাতে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। শুধু স্বর্ণের চেইন কিংবা কানের দুল নয়; তারা সুযোগ পেলেই যাত্রীদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিতো। মলম লাগিয়ে মানুষকে অজ্ঞান করে এসব কাজ করতো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Source link

Related posts

ঈদের আগে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুর দাবি মালিক-শ্রমিকদের

News Desk

চর ও চরের শিশুদের নিয়ে ‘চমৎকার’ যত উদ্যোগ

News Desk

আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা

News Desk

Leave a Comment