Image default
প্রযুক্তি

পৃথিবীতে রাজত্ব করত প্রায় ২.৫ বিলিয়ন টিরানোসরাস রেক্স!

ভয় ধরানোর জন্য একটি টিরানোসরাস রেক্সই যথেষ্ট। আর যদি ২.৫ বিলিয়ন এই প্রাণী থাকে? কল্পনাতেই তো হাত পা পেটের ভিতর ঢুকে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু এক সময় সত্যিই এতগুলোই হিংস্র টিরানোসরাস রেক্স রাজত্ব করত এই পৃথিবীতে। নতুন এক গবেষণায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে একটি দল এই ডাইনোসর নিয়ে গবেষণা করছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা টি রেক্সের শরীরের আকার, সেক্সুয়াল ম্যাচিওরিটি এবং তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তাঁরা এও জানান ঠিক কতগুলি টি রেক্স পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী ১ লক্ষ ২৭ হাজার প্রজন্মেরও বেশি সময় হিংস্র টিরানোসরার রেক্স পৃথিবীর বুকে টিকে ছিল। বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এমন সংখ্যা প্রকাশ্যে আসা এই প্রথম। টি রেক্সের আকার নিয়েও নিজেদের অনুসন্ধান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে টি রেক্সের আকার নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি। যদিও তার একটি মার্জিন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরের প্যালিয়ন্টোলজির পরিচালক ও প্রধান লেখল চার্লস মার্শালের মতে, অনেক চোয়াল, অনেক দাঁত ও অনেক নখ পাওয়া গিয়েছে।

এই প্রজাতি উত্তর আমেরিকায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন থেকে ৩.৬ মিলিয়ন বছর ধরে ঘুরে বেড়িয়েছে। এর মানে হল টি রেক্সের সংখ্যা ও ঘনত্ব কোনও এক সময় বেশ ছোট ছিল। ম্যাকলেস্টার কলেজের তাপেওবায়োলজিস্ট ক্রিস্টি কারি রজার্স বলেছেন, তিনি প্রথম পড়েন যে ২.৫ মিলিয়ন টি রেক্স পৃথিবীতে ছিল তখন অনেকের মতো তিনিও বিশ্বাস করতে পারেননি। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর চোখে ধোঁকা লেগেছিল। মার্শাল বলেছিলেন এটি বিজ্ঞানীদের টি রেক্সের জীবাশ্ম সংরক্ষণের হারটি নির্ধারণে সহায়তা করবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০টির মতো টি রেক্সের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে 32 টির অবস্থা যথেষ্ট ভালো। সেগুলি প্রাপ্তবয়স্ক। তিনি আরও বলেন, যদি ২.৫ বিলিয়নের পরিবর্তে ২.৫ মিলিয়ন টি রেক্স থাকত, তবে হয়তো তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানাই যেত না।

মার্শালের টিম সাধারণ জীববিজ্ঞানের নিয়ম ব্যবহার করে টি রেক্সের সংখ্যার গণনা করে। জানা যায় যে বড় প্রাণী হলে তাদের সংখ্যার ঘনত্ব কম হয়। তার উপর টি রেক্স ছিল মাংসাশী। টি রেক্সের বেঁচে থাকার জন্য কোমোডো ড্রাগন এবং সিংহের মাঝামাঝি এনার্জি প্রয়োজন হত। যত বেশি শক্তি প্রয়োজন, জনসংখ্যার সংখ্যা তত কম। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে টি রেক্সের ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যে সেক্সুয়াল ম্যাচিওরিটি আসত। তারা বাঁচত প্রায় ২৮ বছর।

Related posts

বাংলাদেশের অগ্রগতি পাকিস্তানি দোসরদের গাত্রদাহ হয়ে উঠেছে : মোস্তাফা জব্বার

News Desk

শব্দখেলায় মেতেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

News Desk

৩০ বছর আগের দুঃখ ঘুচিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, ইমরান হওয়ার সাধ অধরাই রইলো বাবরের

News Desk

Leave a Comment