৫ দিনে কূলকিনারা হয়নি রজনীগন্ধার, ৪ ট্রাক উদ্ধার
বাংলাদেশ

৫ দিনে কূলকিনারা হয়নি রজনীগন্ধার, ৪ ট্রাক উদ্ধার

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধার কোনও কূলকিনারা করা যায়নি। তবে পঞ্চম দিনে আরও একটি ট্রাক উদ্ধার করেছেন নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিরা। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ৯টি যানবাহনের মধ্যে চারটি উদ্ধার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) একটি ট্রাক ও একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা গেলেও, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ও শনিবার (২০ জানুয়ারি) কোনও যানবাহন উদ্ধার করা যায়নি।

আব্দুল হামিদ মিয়া আরও বলেন, বাকি পাঁচটি ট্রাক উদ্ধারে কাজ করছেন ডুবুরিরা।

পদ্মা নদীতে ফেরিডুবির ঘটনায় পঞ্চম দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। আরও একটি উদ্ধার সহায়ক জাহাজ ঝিনাই-১ আসছে রজনীগন্ধা উদ্ধারে।

রবিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিরা।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, পঞ্চম দিনে উদ্ধার অভিযানে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। আশা রাখছি, প্রত্যয়ই ফেরিটি দৃশ্যমান করতে পারবে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। ডুবন্ত ফেরিটি ৪০-৫০ ফুট পানির নিচে। ফেরির এক পাশে ওয়্যার রোপ পরানো হয়েছে। আরেক পাশে হুক পরানো হবে।

এদিকে ডুবে যাওয়া ফেরিটি দৃশ্যমান করার জন্য আনা হচ্ছে ঝিনাই-১ জাহাজ। মূলত নদীর অভ্যন্তরে থাকা ফেরিটি ও যানবাহনের অবস্থান নির্ণয় করবে এটি।

তবে উদ্ধারকারী জাহাজ ঝিনাই-১ আসছে কি না, জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক বলেন, আমিও শুনেছি ঝিনাই-১ আসছে। এটি পানির নিচের ট্রাকগুলো কোথায় আছে, কীভাবে আছে, স্ক্যানারের সক্ষমতা আছে বলে শুনেছি। তবে এটি কখন পৌঁছাবে, বিস্তারিত বলতে পারছি না।

ফেরি উদ্ধারে সক্ষমতা ছিল না হামজা ও রুস্তমের
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরাণ ইমন বলেন, নৌবাহিনীর ডুবুরি টিম, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর অর্ধশতাধিক ডুবুরি প্রত্যয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। বড় বড় ওয়্যার রোপ ফেরির নিচের এক পাশ দিয়ে প্রত্যয়ের ক্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। আরেক পাশে ওয়্যার রোপ যুক্ত করে ফেরিকে ভাসানোর চেষ্টা চালানো হবে।

প্রচুর শীত ও কুয়াশায় পানিতে বেশিক্ষণ থাকা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বলেন লেফটেন্যান্ট শাহ পরাণ ইমন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে ৯টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে ডুবে যায় রজনীগন্ধা-৭ নামে ফেরিটি। ফেরি ডোবার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন রজনীগন্ধার দ্বিতীয় মাস্টার হুমায়ুন কবির। যদিও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তাদের ধারণা, তিনি ডুবে যাওয়া ফেরিতেই আটকে আছেন।

Source link

Related posts

এক জেলার ২৯টি স্লুইসগেট অকেজো

News Desk

বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

News Desk

টমেটোর কেজি ২ টাকা, তবু ক্রেতা নেই

News Desk

Leave a Comment