ফেনীর হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী
বাংলাদেশ

ফেনীর হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী

ফেনীর বিভিন্ন হাসপাতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সতর্কতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) হাসপাতালের শিশু বিভাগে ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ার্ডের ভেতরে রোগীদের ঠাঁই নেই। বারান্দার মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে অতিরিক্ত রোগী ও স্বজনদের। ওয়ার্ডের ভেতরেও রাউন্ডে থাকা ডাক্তারের সেবা নিতে রোগীর স্বজনরা শিশুদের কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ (নার্স) সুমাইয়া খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা এখানে ভর্তি হচ্ছে। বেড সংকটে হাসপাতালের ফ্লোর ও বারান্দায় বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে।’

বিবি আয়েশা নামে এক শিশু রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে ফ্লোরে থাকতে হচ্ছে শিশু রোগীদের। ফলে সুস্থ হওয়ার বদলে আরও বেশি সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরা।’

রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, ‘ওয়ার্ডে ৩-৪ জন নার্স ডিউটি করেন। রোগীর চাপ বাড়লে তাদের সঙ্গে কথাই বলা যায় না। প্রায় তারা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।’

হাসপাতালের শিশু বিভাগে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ (নার্স) শ্যামলী রাণী বলেন, ‘কদিন ধরে রোগীর চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। এত রোগীর চাপ সামাল দেওয়া আমাদের পক্ষে কষ্টকর হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল জানান, শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ছিল ৫৩ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭ বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৪৮ শিশু। মাত্র তিন জন চিকিৎসক দিয়ে এত রোগীর চাপ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।

Source link

Related posts

ভয়-আতঙ্কে বান্দরবানের হোটেল-রিসোর্ট ফাঁকা, পর্যটনে ধস

News Desk

যমুনার ভাঙনে বসতভিটা বিলীন, হুমকিতে ৩০০ ঘরের গুচ্ছগ্রাম

News Desk

মরে যাচ্ছে শ্যামাসুন্দরী খাল, দুর্ভোগে পড়বে রংপুরের ২০ লাখ মানুষ

News Desk

Leave a Comment