ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি
বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৩ জারি

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির ক্ষয়ক্ষতি রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছে। এ ঘোষণার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পণ্য ওঠানামাসহ সব ধরনের কার্যক্রম।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবহাওয়া অফিস ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলেছে। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বন্দরের সকল কার্যক্রম। চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় থাকা লাইটার জাহাজগুলোকে সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেটি ও বহির্নোঙরে থাকা জাহাজগুলোকে আউটারে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেটিতে সব ধরনের পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান আছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নিজস্ব অ্যালার্ট জারি করবো।’

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, আবহাওয়া অফিস ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-২ জারি করে। তবে আবহাওয়া অফিস ৫ নম্বর থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত বিপদসংকেত জারি করলে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। তখন বহির্নোঙর ও জেটিতে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি থেকে জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মহাবিপদসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Source link

Related posts

করোনা আক্রান্ত এএমএ মুহিতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

News Desk

ইফতার ও সাহরিতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

News Desk

সকাল থেকে বৃষ্টি ঢাকায়

News Desk

Leave a Comment