Image default
স্বাস্থ্য

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং বাড়তি ওজন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে তাই যেকোনো সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে ডায়াবেটিসের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ার যোগসূত্র কোথায়?

ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা হয়। দীর্ঘমেয়াদী এ রোগের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেইসঙ্গে ডায়াবেটিসের কারণে চোখ, কিডনি, হার্ট, ব্রেন, নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হতে থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা রক্তনালীগুলোর ক্ষতি করার পাশাপাশি প্রদাহকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহকে বাঁধা দেয়। এ কারণেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস রোগীর যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে সাধারণ নিউমোনিয়া ভেবে অবহেলা করবেন না। ডায়াবেটিস থাকলে এই সমস্যাই হয়ে উঠতে পারে ভয়াবহ। তাই ফ্লু ও নিউমোককাল ভ্যাক্সিন সংক্রমণ রোখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস দু’টি ক্ষেত্রেই হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর- এটি ধমনীতে ফলক তৈরি করে। এ ছাড়াও ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকাশের একটি প্রধান কারণ।

যদি কোনো ডায়াবেটিস রোগীর ৩০ বছরের পর থেকে ওজন বেশি থাকে; সেক্ষেত্রে ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, রক্তে শর্করার পরিমাণ, লবণ, স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্সফ্যাট এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত।

ডায়াবেটিস রোগীরা যেভাবে হার্টের যত্ন নেবেন-

১. চিকিৎসকদের মতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের বিকল্প নেই।

২. ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত নিয়মিত তাজা ফল, শাক-সবজি, লেবু, লো ফ্যাটযুক্ত দুধ খাওয়া উচিত।

৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তিন মাসের গড় শর্করা ৭ এর নিচে, সম্ভব হলে ৬.৫ এর নিচে রাখার চেষ্টা করুন।

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প নেই। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করুন।

৫. কম ক্যালোরি ও চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।

৬. প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করুন। ব্যায়াম করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৭. চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ও হৃদরোগ আছে কি-না, তা পরীক্ষা করে আগে থেকেই সচেতন হোন।

Related posts

জেরেমি ক্লার্কসন বলেছেন যে তিনি হার্ট সার্জারির পরে ‘মরে না যাওয়ার জন্য দৃ determined ়প্রতিজ্ঞ’

News Desk

ছুটির জন্য বাড়িতে? বিশেষজ্ঞদের মতে, কীভাবে পরিবারের সদস্যদের চারপাশে চাপ এড়ানো যায় তা এখানে

News Desk

Addiction complicates pain management, but new guidelines offer help for 'complex patients'

News Desk

Leave a Comment