শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামেই ফুটবলের মহাযজ্ঞ 
খেলা

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামেই ফুটবলের মহাযজ্ঞ 

২০১০ সালে কাতারকে যখন বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজনের স্বত্ত্ব দেওয়া হয় তখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিলো কাতারের গরম নিয়ে। মরুর বুকে বিশ্বকাপ ফুটবল, সেটি যেন মেনেই নিতে পারেনি সমগ্র বিশ্ব। চিরাচরিত প্রথা ভেঙে জুন-জুলাই থেকে বিশ্বকাপ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তবুও যেন সমস্যার সমাধান হয় না, শীতকালেও যে কাতারের আবহাওয়া ঘোরাফেরা করে ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রীর আশেপাশে।




সেই কঠিন পরিস্থিতি থেকে কাতারকে পরিত্রান এনে দিয়েছেন ডক্টর কুল খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার সৌদ ঘানি। তার তৈরি করা মেশিন দিয়েই বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম গুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের। 


ছবি: সংগৃহীত

কাতারের বুকে ৮টি স্টেডিয়ামে লড়াইয়ে নামবে বিশ্বকাপের দলগুলো। সবগুলো স্টেডিয়ামেই সৌদ ঘানির নির্মিত কুলিং মেশিন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা হবে তাপমাত্রা। এছাড়াও বায়ু পরিশোধন করাও সম্ভব হবে একই যন্ত্র দিয়ে।  


ছবি: সংগৃহীত

এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের আওতাভুক্ত বিশ্বকাপের ৮টি স্টেডিয়ামেই বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঠান্ডা বাতাসের বাবল তৈরি করা হবে, সেই বাবলের মাধ্যমেই ঠান্ডা রাখা হবে পুরো স্টেডিয়ামের পরিবেশ।  


ছবি: সংগৃহীত

স্টেডিয়ামে দর্শকদের সব আসনের নিচে একটি  করে নজেল রাখা হয়েছে। সেই নজেলের মাধ্যমেই স্টেডিয়াম দর্শকদের শরীর থেকে নিঃসৃত তাপ কুলিং মেশিনে নিয়ে প্রবাহিত করা হবে। কুলিং মেশিনে সেই তাপকেই পরিণত করা হবে শীতল বাতাসে, যেটি নিঃসৃত হবে স্টেডিয়ামের এয়ার কুলিংয়ের বিশালাকৃতির নল দিয়ে।


ছবি: সংগৃহীত

সৌদ ঘানির এই কুলিং সিস্টেম না থাকলে হয়তো কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনই সম্ভব হতো না। যার প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রায় অসাধ্যকে সাধন করেছে কাতার সেই সৌদ ঘানি নিজে বলেন, ‘এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের মাধ্যমে শুধু স্টেডিয়াম ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থাই করা হয়নি, সঙ্গে উত্তপ্ত বাতাসের তাপমাত্রা কমিয়ে পরিশুদ্ধ করে তা রিসাইকেল করার ব্যবস্থাও করতা হয়েছে। তাই এই কুলিং সিস্টেমের মাধ্যমে শুধু যে ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যা তা নয়, এর মাধ্যমে বায়ুদূষণও রোধ করা সম্ভব হবে।’  


ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে কুলিং সিস্টেমসহ টয়পীরি হয়ে গেছে সেগুলো। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ। তার বড় একটা কারণ অবশ্য এই কুলিং সিস্টেম সেটি আর বলার অবকাশ রাখে না


ছবি: সংগৃহীত

তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। এখন অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে মহাযজ্ঞের কিক-অফের।

Source link

Related posts

টনি ডায়ানগো দ্বীপের বাসিন্দাদের সাথে একটি নতুন শুরুতে তার পিছনে চলে গেছে

News Desk

Fox News Digital Sports NFL power rankings after Week 16 of the 2024 season

News Desk

প্রাক্তন কমান্ডার লাইনম্যান চার্লস লেনো জুনিয়র একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডির স্মৃতিতে এনএফএল থেকে সরে যাচ্ছেন

News Desk

Leave a Comment