অন্যান্য

যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে চাপ দিতে চীনকে পাশে চায় জার্মানি

এ সময় শলৎজ আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে রাশিয়া সীমা অতিক্রম করেছে। বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে এই যুদ্ধ বন্ধে চীনের দায়িত্ব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগে চীন তার প্রভাব ব্যবহার করতে পারে। আর এর গুরুত্বের বিষয়টি আমি প্রেসিডেন্ট সিকে বলেছি।’

দুই নেতার বৈঠকের পর চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানায়, বৈঠকে দুই নেতা রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি ও ঝুঁকির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তবে সি চিন পিং সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করা কিংবা ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো থেকে বিরত ছিলেন। কেননা, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে সি চিন পিংয়ের সমর্থন পেয়ে এসেছেন।

বৈঠকের পর জার্মান চ্যান্সেলর শলৎজ সাংবাদিকদের বলেন, মস্কোর পারমাণবিক হামলার ঝুঁকি দায়িত্বজ্ঞানহীন ও হিংসাত্মক আচরণের শামিল, এ বিষয়ে জার্মানি ও চীন একমত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া সীমা লঙ্ঘন করছে। ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি চালু রাখতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শলৎজ আরও বলেন, মানুষের ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।

জলবায়ু পরিবর্তন, বাণিজ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন, করোনার বিস্তারসহ নানা ইস্যুতে চীনের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরোধ চলছে। এসব বিরোধ ও উত্তেজনার মুখে বেইজিং সফর করলেন শলৎজ। এই সফর নিয়ে জার্মানিতে বিরোধী রাজনীতিকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে শলৎজকে। তবে তিনি চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি ভারসাম্য আনতে চাইছেন বলে মত বিশ্লেষকদের। শুক্রবারের বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আস্থা ফিরিয়ে আনা ও বৈশ্বিক ইস্যুতে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

এদিকে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পাদিত শস্য রপ্তানি চুক্তি নিঃশর্তভাবে চালু রাখতে রাশিয়ার প্রতি ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭ আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার জার্মানির মিউনিখে এ-সংক্রান্ত আলোচনার পর জোটের পক্ষ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে মস্কোর ইরানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনাকে অগ্রহণযোগ্য বরে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি যে ইরান রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয় বিবেচনা করছে। এটি একেবারে অগ্রহণযোগ্য। রাশিয়ার এই অবৈধ যুদ্ধে কোনো দেশের মস্কোকে সহায়তা করা উচিত হবে না।’

Related posts

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল

News Desk

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট বাড়লে তেলের দাম আরও বাড়বে

News Desk

করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করলেন ড. শি ঝেংলি

News Desk

Leave a Comment