অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক ফকির লালন শাহ ও তাঁর গান। তিনি মানবধর্মে বিশ্বাস করতেন। বিশ্বজুড়ে মানবপ্রেম ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। লালন বহুমাত্রিক এক ব্যক্তিত্ব। তিনি সারা পৃথিবীর বাঙালির সম্পদ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে লালন স্মরণানুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে শিশুমেলা নামের একটি সংগঠন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা বিজয় কিষান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশুমেলার কর্ণধার রুবেল দাশ।
বক্তারা বলেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মতো লালনও আমাদের সম্পদ। তিনি তাঁর কর্মে ও প্রতিভায় বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন না। লালনের চেতনা অসাম্প্রদায়িক। এই চেতনা না থাকলে বাংলাদেশ থাকে না। আজ অনেক উন্নতি-অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু সমাজ যদি অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী না হয়, তাহলে এসব অগ্রগতি টিকবে না।’
প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। সেন্ট স্কলাস্টিকা স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মার্গারেট মনিকা জিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল সরকার, প্রকৌশলী রূপক চৌধুরী, শিল্পী মানস পাল, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌহান প্রমুখ।
লালন স্মরণানুষ্ঠানে আজকের উদ্বোধনী পর্ব মাতিয়ে তোলেন ফরিদপুর থেকে আসা পাগলা বাবলু ও তাঁর দল। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন পাগলা বাবলু, জোহরা বাউল, হাবিবুর রহমান বাউল, চট্টগ্রামের লুপর্ণা মুৎসুদ্দী, প্রণয় ধর ও জয় দত্ত।