দুই ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ফজলে রাব্বী মিয়া
বাংলাদেশ

দুই ছেলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ফজলে রাব্বী মিয়া

দুই ছেলের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার সাঘাটায় নেওয়া হবে তার মরদেহ। ঢাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ পৌঁছাবে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ওই মাঠে বিকাল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে বিকাল সাড়ে ৫টায় আরেকটি জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আর নেই

ফজলে রাব্বী মিয়ার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বী ও মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি জানান, নিজ বাড়ির চত্বরে ফজলে রাব্বী মিয়ার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুই ছেলের পাশে তাকে দাফন করা হবে। সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে তার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছাবে। প্রথম জানাজা সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মাইন্ট সাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফজলে রাব্বী মিয়া। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগ ও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত ৯ মাস ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। 

ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের হুইপ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছাবে সোমবার

এদিকে, একজন সাহসী ও বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে গাইবান্ধা জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে। শোকাহত আছেন আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসীও। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ পরিবার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও গাইবান্ধা তথা সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার উন্নয়নে অপূরণীয় ক্ষতি হলো- এমনটাই বলছেন দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। 

তারা বলছেন, তিনি যেমন সৎ ও দক্ষ ছিলেন তেমনি উন্নয়ন আর মানুষের পাশে থাকাসহ নেতৃত্ব সৃষ্টির কারিগর ছিলেন। এমন বটবৃক্ষের কথা জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে আজীবন।

Source link

Related posts

রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ২০, মৃত্যু ১

News Desk

ময়মনসিংহ মেডিকেলে করোনায় ১৭ জনের মৃত্যু

News Desk

৩১ বছর পরও ভয়ে আঁতকে ওঠেন মাবিয়া

News Desk

Leave a Comment