প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তরের তাগিদ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর
প্রযুক্তি

প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তরের তাগিদ টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ফলে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছর পর পৃথিবীতে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

মন্ত্রী ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দুনিয়ার তুলনায় বাংলাদেশ ভাল করার মূল মন্ত্রটি ডিজিটাল কর্মসূচি। যে শিশুরা পড়তে চায় না তাদের আগ্রহ সৃষ্টিতে ডিজিটাল কন্টেন্টে পাঠ দান ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন, শিশুরা খেলার ছলে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হবে। নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলায় একটি ডিজিটাল স্কুলের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কম্পিউটার ব্যবহার করে পাঠদান দেখেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত তের বছরে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তরে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে বাংলা ভাষায় এ ধরণের ডিজিটাল উপাত্ত তৈরি করা এটাই প্রথম। প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকগণ ডিজিটাল মানবসম্পদ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকগণ তাদের প্রতিক্রিয়ায় প্রকল্পটি কেবল ৬৫০টি বিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী তাদেরকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবদুল মোকাদ্দেম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট বিষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজয় ডিজিটাল লিমিটেডের সিইও জেসমিন জুই। প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল ওহাব এবং টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান হাবিব তফাদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

উল্লেখ্য, ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল রুপান্তরের কার্যক্রম শেষ স্তরে রয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬শ’ ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি‘র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

Source link

Related posts

প্রথম আইপড কেন পানিতে ফেলেছিলেন জবস?

News Desk

আমিরাত প্রথম কোনো আরব নারীকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে

News Desk

ফেসবুকে ডার্ক মোড অন করতে অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন বা ওয়েব ইউজাররা যা যা করবেন

News Desk

Leave a Comment