আটলান্টিক সাগরে বিপদের মুখোমুখি টাইগাররা, ক্ষুব্ধ বিসিবির প্রতি
খেলা

আটলান্টিক সাগরে বিপদের মুখোমুখি টাইগাররা, ক্ষুব্ধ বিসিবির প্রতি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সিরিজের কথাবার্তা যখন পাকা হয়, তখন ক্যারিবিয়ান বোর্ডের প্রস্তাব ছিল, ফেরিতে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকা যাবে ক্রিকেটাররা। এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়ার এমন প্রস্তাবে মেনে নিয়েছিল বিসিবি। পাগলাটে আটলান্টিকে কি হতে পারে, কতটা ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে- তাই প্রত্যক্ষ করলো ক্রিকেটাররা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ছবিটি পোস্ট করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান। সেখানে দেখা গেছে, পেছনে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিশাল ফেরি। তার একটু সামনেই আতহার আলী খানের সেলফিতে বন্দি হয়েছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 



ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ফেরিতে করে ভয়ংকর যাত্রা শুরু করার আগে।’ যাত্রার পরের সময়টা আসলেই বাংলাদেশ দলের জন্য ছিল ভয়ংকর।  

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় (স্থানীয় সময় সকাল) ক্যাস্ট্রিস বন্দর থেকে তারা ডোমিনিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। পৌঁছায় স্থানীয় সময় দুপুরে। এখানেই হবে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি।

শুরুতে হালকা মেজাজেই ছিলেন ক্রিকেটাররা। নিজেদের মধ্যে খোশগল্প, আড্ডা, ছবি তোলা চলছিল; বলা যায় সবাই মিলেই উপভোগই করছিলেন ফেরিযাত্রা। আধ ঘণ্টা পার হতে না হতেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। আটলান্টিকের ঢেউয়ের বিশালতা বাড়তে থাকার সাথে সাথেই, ভয়ের সাথে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন ক্রিকেটাররা। ভয়ের সঙ্গে দ্রুততম সময়ে অসুস্থ হয়েছেন ক্রিকেটাররা।



দেড় ঘণ্টার যাত্রার পর মার্টিনিক নামের এক দ্বীপে যাত্রা বিরতি, সেখানে কয়েকজন ক্রিকেটার লিজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবালের কাছে ভয় আর শঙ্কা নিয়ে জানিয়ে দেন বাদবাকি পথটুকু তারা আর যাবেন না, তাদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে সেখানেই থাকার এবং পরে বিমানে যাবার ব্যবস্থা করা হোক। বোর্ডের প্রতি রীতিমতো রাগে-ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ক্রিকেটাররা।

জানা গেছে, সেন্ট লুসিয়া থেকে বের হয়ে ফেরি যখন আটলান্টিক পাড়ি দিচ্ছিল তখন মূলত সমস্যা শুরু হয়। বিশালাকার ঢেউ দেখে আতংকিত হয়ে পড়েন অনেকে। পেসার শরিফুল ইসলাম ও নুরুল হাসান সোহান অসুস্থ হয়ে পড়েন। বমিও করেন তারা। এ ছাড়া অস্বস্তিতে থাকেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। ম্যাসেজম্যান সোহেল তো আতঙ্কে ডেকেই ঘুমিয়ে পড়েন।

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে এ সময় কথা বলতে দেখা যায়। তিনি বলছিলেন, আমরা হয়তো ৪-৫ জন আছি যারা দাঁড়িয়ে আছি, আর কেউ দাঁড়িয়ে থাকার অবস্থায় নেই।

বাংলাদেশ দলের যাত্রা শুরুর কথা ছিল একদিন আগেই। কিন্তু হঠাৎ করে উত্তাল হয়ে ওঠে আটলান্টিক। শঙ্কা দেখা দেয় হ্যারিকেনের। যার প্রভাব পড়েছিল সেন্ট লুসিয়া টেস্টে। সাগর উত্তাল থাকায় একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় সমুদ্র যাত্রা। বাংলাদেশ অনুশীলন শুরু করে সেন্ট লুসিয়াতেই। একদিন অনুশীলন করে বৃহস্পতিবার রওয়ানা দেয়। সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকার দূরত্ব ১৭৩ কিলোমিটার। সমুদ্রের হিসেব ধরলে ৭৭ নটিক্যাল মাইল। এই ফেরি যাত্রায় সময় লাগে ৫ ঘণ্টার মতো। 

সেন্ট লুসিয়া থেকে বিমানেও যাত্রা করা যায়। তবে সেটি আয়োজন করে স্বাগতিক বোর্ড। উইন্ডিজ বোর্ড ফেরির আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সম্মতি দিয়েছে তাতে। দলের  সবারই এই ফেরি যাত্রা প্রথম! শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। বিসিবির এই সম্মতি এখন প্রশ্নবিদ্ধ। 

Source link

Related posts

নিক্সের প্লে-অফ দৌড়ে অংশগ্রহণ করে পোস্ট সিজন সম্পর্কে ইয়াঙ্কিরা কী শিখে

News Desk

সহজ ম্যাচ কঠিন করে হারল সাকিবের কলকাতা

News Desk

জলদস্যুরা সঠিক ক্ষেত্রে রবার্তো ক্লেমিনেটের সম্মান অপসারণ করতে উত্তাপটি টানল

News Desk

Leave a Comment