‘পদ্মা সেতু’ হাতে নিয়ে আনন্দ উদযাপন
বাংলাদেশ

‘পদ্মা সেতু’ হাতে নিয়ে আনন্দ উদযাপন

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (২৫ জুন) সারা দেশেই নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রমী আয়োজন দেখা গেছে কুমিল্লায়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পদ্মা সেতুর আদলে বানানো রেপ্লিকা হাতে নিয়ে কুমিল্লায় আনন্দে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। রেপ্লিকা হাতে নিয়ে তাদেরকে আনন্দ র‌্যালিতে করতেও দেখা গেছে।

শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি বের করা হয়। এটি কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বাসা বাড়ি ও যানবাহনে থাকা নগরীর বাসিন্দারা র‍্যালিটিকে হাত নেড়ে স্বাগত জানায়।

কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজের আর্ট বিষয়ক শিক্ষক সামিউল আলম জাহেদ মাত্র দুদিনেই পদ্মা সেতুর এই রেপ্লিকা তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, পদ্মার সেতুর আদলে একটি রেপ্লিকা তৈরি করতে। এরপর আমি দুই রাত জেগে পদ্মা সেতুর নকশা দেখেছি। আর দিনে ককশিট কেটে কেটে পদ্মা সেতুর রূপ দিয়েছি। কিছু জায়গায় রঙের ভিন্নতা হয়েছে এটা মানতে হবে। এতে ককশিট ও বাঁশ ব্যবহার করে তৈরির পর একে দৃষ্টিনন্দন করতে রঙ লাগিয়েছি।’

কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার বলেন, ‘আমাদের অহংকার ও গর্বের প্রতীক এই সেতু। বাংলাদেশের এই স্মরণীয় ঘটনার আনন্দ র‌্যালিতে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকাটি পরিপূর্ণতা এনেছে। সেতুটা দেখার মতো। সবাই প্রশংসা করেছে। আমাদের ভালো লাগছে।’

র‍্যালি শেষে বড় পর্দায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এরপর র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। জেলা প্রশাসক এই পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষক সামিউলের হাতে।

কুমিল্লা অজিত গুহ কলেজের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল হোসাইন বিল্লাল বলেন, ‘পদ্মা সেতু কুমিল্লায় আমি দেখেইতো অবাক হয়ে গেছি। যেন পুরো পদ্মা সেতু। কী সুন্দর ছিল। সবাই ছবি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। আমাদের এই আনন্দের দিনে এটা আরও আনন্দ বাড়িয়েছে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘রেপ্লিকাটি সবাই পছন্দ করেছে। এটা সবচেয়ে সুন্দর ছিল। সবাইকে দেখলাম এসে এটার সঙ্গে ছবিও তুলছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘সেতু উদ্বোধনের দিন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে আনন্দ র‌্যালি বের হয়। পদ্মা সেতু যেমন বিস্ময়কর একটি উন্নয়ন তেমনই, সেতুর আদলে তৈরি করা শিল্পটিও বিস্ময়কর ছিল। কুমিল্লার মানুষ এটা খুব সুন্দরভাবে নিয়েছে। এটা দেখতে অসাধারণ ছিল। র‌্যালি শেষে টাউন হলের বড় পর্দায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা করা হয়।’

Source link

Related posts

ভবন নির্মাণে ‘নিম্নমানের উপকরণ’, ধসে পড়ল ভূমি অফিস

News Desk

৫ ঘণ্টা গুলি-টিয়ার গ্যাস ছুড়েও শিক্ষার্থীদের এক চুলও পিছু হটাতে পারেনি পুলিশ

News Desk

দেড় বছরের কাজ আড়াই বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়েছে ২৬২ কোটি

News Desk

Leave a Comment