Image default
আন্তর্জাতিক

অশান্ত হাওড়ায় হিন্দুর সৎকার করলেন সংখ্যালঘুরা, ভেদাভেদ নেই, বললেন পিতৃহারা ছেলে

গত সপ্তাহে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। যার উত্তাপ ছড়ায় সাঁকরাইলেও। এখনও হাওড়া গ্রামীণ এলাকার কিছু কিছু জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। এই আবহে দেখা গেল সম্প্রীতির ছবি। মৃত্যুর পর এক হিন্দু বৃদ্ধের সৎকারে কাঁধ বাড়ালেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।

সাঁকরাইলের সর্দার পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন সন্তোষ কর্মকার। দীর্ঘ দিন হৃদ্‌‌রোগে ভুগছিলেন ৭৫ বছর বয়সি সন্তোষ। ছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি নিজের বাড়িতেই মারা যান। তাঁর এক ছেলে মাধব কর্মকার পেশায় গৃহশিক্ষক। বাবার চিকিৎসায় বেশ ভাল পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার কারণে ওই পরিবারের হাতে দেহ সৎকারের অর্থ ছিল না। এই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাঁরা নিজেদের টাকা খরচ করে সৎকারের ব্যবস্থা করেন। বাঁশ কিনে এনে শ্মশানযাত্রার খাট তৈরি করেন নিজেরাই। নামাবলী থেকে ফুল, ধূপ, এমনকি, খই পর্যন্ত কিনে নিয়ে আসেন। তার পর মুসলমান ভাইদের কাঁধে চেপে শেষ যাত্রা হয় সন্তোষবাবুর।

মৃতের ছেলে মাধবের কথায়, ‘‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে সংখ্যালঘু প্রতিবেশীরা নিজে থেকে এগিয়ে আসেন। তাঁরাই সৎকারের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন। শুধু আজ নয়, কোভিড পরিস্থিতির সময়েও ওঁরা সাহায্য করেছিলেন।’’ পিতৃহারা মাধবের কথায়, ‘‘এই গ্রামে ধর্মের ভেদাভেদ নেই।’’ প্রতিবেশী নাসিরুদ্দিন সর্দার বলেন, ‘‘এখানে হিন্দু-মুসলমান ভাই-ভাই। মাধবের পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ। শবদাহ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাই আমরা এগিয়ে আসি। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা খুশি।’’

Related posts

‘পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ইউরোপের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে’

News Desk

আবুধাবিতে এরদোগানের সম্মানে জমকালো নৈশভোজ

News Desk

সাত দিনের মধ্যে ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে ইইউ

News Desk

Leave a Comment