তিস্তার পানি কমলেও শঙ্কা কাটেনি 
বাংলাদেশ

তিস্তার পানি কমলেও শঙ্কা কাটেনি 

নীলফামারীতে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি কমেছে। শনিবার (১৮ জুন) সকাল ৬টায় ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ৯টায় আরও ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি নেমে গেছে। তবে বন্যার শঙ্কা এখনও কাটেনি।

এর আগে শুক্রবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। তিস্তার ব্যারাজের বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার। পানি বাড়ায় চর ও নিম্নাঞ্চলে কয়েক শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। 

ডালিয়া ডিভিশনের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নূরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের (৪৪টি) স্লুইচ গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ডিমলা উপজেলার পুর্ব ছাতনাই, খগাখাড়বাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০টি চর গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নূল ইসলাম জানান, নিম্নাঞ্চল ও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যেকোনও সময় লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সন্ধ্যা নাগাদ ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এলাকার লোকজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ জানান, ঝাড়সিংশ্বর এলাকাসহ জলঢাকার ডাউয়াবাড়ী, হলদিবাড়ী, গোপালঝাড় ও আলসিয়া পাড়ায় বন্যার পানি ছুঁই ছুঁই করছে।

ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) ইলিয়াজ হোসেন বলেন, ‘উজানের ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও গত তিন দিনের অনাবরত বৃষ্টিতে তিস্তায় পানি ওঠানামা করছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।

পাউবো’র ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা জানান, গত দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর বাড়ি বেড়ে যায়। সকাল ৯ টার দিকে বিপৎসীমার ২৫ সেটিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে আবারও পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তিস্তার পানি ওঠানামা করছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বন্যা এলাকায় নিয়মিত খোঁজ-খবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Source link

Related posts

অবহেলায় ভেঙে না পড়ে বিশ্বজয় রিকতার

News Desk

এক উপজেলায় বিক্রি হবে ১২ কোটি টাকার লিচু

News Desk

লালমনিরহাটে ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে, শহর রক্ষা বাঁধে ধস

News Desk

Leave a Comment