ইংল্যান্ডের শিক্ষা বদলে দিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট?
খেলা

ইংল্যান্ডের শিক্ষা বদলে দিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট?

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে  মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড।  জিততে হলে শেষ দুই ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৬ রান, হাতে আছে ২ উইকেট। অধিনায়ক মাশরাফি বল তুলে দিলেন রুবেল হোসেনের হাতে৷ প্রথম বলেই স্টুয়ার্ড ব্রডকে বোল্ড করে ড্রেসিংরুমের পথ দেখালেন রুবেল৷ নতুন ব্যাটসম্যান জেমি এন্ডারসন পরের বলে কোনো রান নিতে পারলেন না৷ এরপরের ঘটনা আমাদের সবারই জানা৷ কমেন্ট্রি বক্স থেকে নাসির হোসেনের চিৎকার “বোল্ড হিম, ফুল এন্ড স্ট্রেইট। দ্যা বাংলাদেশ টাইগার্স আর নকড দ্যা ইংল্যান্ড ল্যায়ন্স আউট অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড কাপ।” 

২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাথে হারার পর ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দলে সাড়া জাগানো পরিবর্তন দেখা যায়। সেদিন বাংলাদেশের করা ২৭৫ রান তাড়া করতে না পারা ইংল্যান্ড আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪৯৮ রানের রেকর্ড করে, যা ওয়ানডেতে দলীয় দর্বোচ্চ।

বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের এই দলটি ওয়ানডে ক্রিকেটের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে এপর্যন্ত পাঁচবার ৪০০ এর বেশি রান করেছে তারা। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪৪ রানের রেকর্ড করে ইংল্যান্ড, নিজেদের করা রেকর্ড আবারো অতিক্রম করে ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে৷ সেদিনের ৪৮১ রানের রেকর্ড আজ আবারো অতিক্রম করলো তারা৷ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আজকের ৪৯৮ রানের রেকর্ড ক্রিকেট ইতিহাসেরই অসাধ্য এক পরিবর্তন। 

ইংল্যান্ডের এই পরিবর্তন খেলোয়াড়দের মানসিকতার পরিবর্তন, আত্নবিশ্বাসের পরিবর্তন। অলরাউন্ড ভিত্তিক পরিকল্পনা মূলত এই পরিবর্তনকে অনেকটা সফল করেছে। বিশেষজ্ঞ বোলার বা বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের বিশেষ কিছুর আশায় ইংল্যান্ডকে আর থাকতে হয় না। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচ বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে অনেকেই। জস বাটলার, ডেভিড মালানদের ঠান্ডা মস্তিষ্কের ব্যাটিং ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দেয় হরহামেশাই। লিভিংস্টোন, বেন স্টোকরা প্রয়োজনে খেলতে পারেন বড় শট। যেমনটা আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২২ বলে লিভিংস্টোনের ৬৬ রান ফিল সল্ট, ডেভিড মালান ও জস বাটলারের সেঞ্চুরির সাথে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে পাহাড়সমান ৪৯৮ রানের ইনিংস। 



২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাথে হারের পর হারের পর যে শিক্ষা নিয়ে বদলে গেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, সকল ফরমেটে সেরা হয়েছে, সেই শিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট।

আমারে যেখানে ছিলাম, সেখান থেকে খুব বেশি কি উন্নতি করতে পেরেছি? আত্মবিশ্বাস নাকি মানসিকতা? আমাদের ক্রিকেটে অভাব কিসের? সৌম্য সরকার, সাইফুদ্দিনরা আশার আলো দেখালেও তাদের আলোয় আলোকিত হতে পারে নি বাংলাদেশ ক্রিকেট। সাব্বির রহমান, জিয়াউর রহমানরাও তো বড় শট খেলতে পারতেন, কেন তারা হারিয়ে গেলেন? কেন আমাদের ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার অভাব? মানসিকতা নাকি দিকনির্দেশনা, ঘাতটি কোথায়? একজন ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে এরকম হাজারো প্রশ্ন আন্দোলিত হয়। 

ইংল্যান্ডের মতো শিক্ষা নিয়ে বদলে যাক বাংলাদেশ ক্রিকেট। উন্নতি করুক ক্রিকেটের সকল শাখায়।

Source link

Related posts

জেসন কেলসি: টেলর সুইফটের সাথে ডেটিং করার পর থেকে ট্র্যাভিস ‘একটুও বদলায়নি’

News Desk

টি-টোয়েন্টি দলও হয়ে উঠবে ওয়ানডে: শান্ত

News Desk

কার্ল-অ্যান্টনি টাউনস পারফরম্যান্স যা নিক্সকে বাঁচিয়েছিল ধন্যবাদ এসেছিল

News Desk

Leave a Comment