বল হাতে ৪ ওভারে ১১.২৫ গড়ে ৪৫ রান খরচ করেন রশিদ খান। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে এদিন অবশ্য সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন লকি ফার্গুসন। তিনি ৪ ওভারে মোট ৫২ রান দেন। এর পরই রশিদ। গুজরাটের বোলারদের শাসন করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
গতকাল বুধবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অভিষেক শর্মা। এছাড়া এইডেন মার্করাম ৫৬, শশাঙ্ক সিং ২৫ ও রাহুল ত্রিপাটি ১৬ রান করেন। গুজরাটের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ শামি ৩টি এবং ইয়াশ দয়াল ও আলজারি জোসেফ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
বল হাতে এভাবে মার খাওয়ার পর ভিলেনও হতে পারতেন রশিদ খান। কিন্তু ম্যাচশেষে তিনিই জয়ের নায়ক। ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিল। তাদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৬৯ রান। ২২ রান করে উমরান মালিকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান শুভমান। পরে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তিনিও উমরান মালিকের শিকার।
দলীয় ১২২ রানের সময় গুজরাটের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। ঋদ্ধিমান সাহাকে সরাসরি বোল্ড করেন উমরান মালিক। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৩৮ বল মোকাবিলায় ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান সাহা। এরপর ডেভিড মিলারও ১৭ রান করে ফিরে যান। মিলারকেও বোল্ড করেন উমরান। এর পরের বলে ক্রিজে নামা আভিনাভ মোনাহারকেও একইভাবে আউট করেন এই কাশ্মিরি তারকা। এর মধ্য দিয়ে আইপিএলে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট শিকার করলেন উমরান মালিক। শেষ পর্যন্ত গুজরাটের এই পাঁচটি উইকেটই সাজঘরে ফেরে এবং সবগুলোর শিকারি উমরান।
তখন হায়দ্রাবাদের জয় দেখছিল অনেকে। কিন্তু এর পরই অবিশ্বাস্য এক গল্প লেখেন রাহুল তেওয়াতিয়া ও রশিদ খান। ২৪ বলে ৫৯ রানের এক দুর্দান্ত জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা দু’জন। এর মধ্যে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। সেই ওভারে তারা তুলেছে ২৫ রান! রশিদ খান মাত্র ১১ বল মোকাবিলায় ৩১ রান করেন। অপরপ্রান্তে তেওয়াতিয়া ২১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন উমরান মালিক। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তিনি। দলকে জেতাতে না পারলেও ম্যাচের মোড় বদলে দেওয়া স্পেল করেছেন এই গতি তারকা।