Image default
আন্তর্জাতিক

মালি, বুরকিনা ফাসোতে হামলায় ১১ সৈন্য নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার প্রতিবেশি দুই দেশ মালি এবং বুরকিনা ফাসোতে জিহাদিদের হামলায় অন্তত ১১ সৈন্য নিহত ও আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা মালি এবং বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা সূত্রগুলো শনিবার হতাহতের এই তথ্য জানিয়েছে।

মালির সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার গভীর রাতে মালির মধ্যাঞ্চলের তিনটি সেনা শিবিরে বিস্ফোরক বোঝাই একাধিক গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা। এতে ছয় সৈন্য নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া অন্য দুটি স্থানে জিহাদিদের হামলায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

এদিকে, বুরকিনা ফাসোর দুটি নিরাপত্তান সূত্র রয়টার্সকে বলেছেন, বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের ওপারের গাসকিন্দে এলাকার একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা। এতে পাঁচ সৈন্য এবং চার বেসামরিক নিহত হয়েছেন।

গত দুই বছরে মালি এবং বুরকিনা ফাসোর ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছে দেশ দুটির সামরিক জান্তারা। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত পূর্বসূরিদের চেয়ে বেশি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা। কিন্তু দুই দেশেই সহিংস হামলা অব্যাহত রয়েছে।

গ্রামীণ মরু অঞ্চল থেকে ইসলামপন্থী যোদ্ধাদের নির্মূলের প্রচেষ্টার সময় উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চল ইসলামপন্থিরা দখলে নেওয়ার পর দেশটিতে সঙ্কটের শুরু হয়।

ফরাসি সৈন্যরা অভিযান চালালে পিছু হটতে বাধ্য হয় ইসলামপন্থি জিহাদিরা। পরবর্তীতে আবারও সংগঠিত হয়ে রাজধানী বামকোর কাছে একাধিক হামলা চালায় তারা।

কয়েক বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সাথে সংশ্লিষ্ট এই জিহাদিরা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। জঙ্গিদের হামলায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং আরও লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

Related posts

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় অংশ নিতে পারেন বেলারুশের সেনারাও

News Desk

টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত কেন?

News Desk

‘পরমাণু অস্ত্রধারী’ রাষ্ট্র ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

News Desk

Leave a Comment