Image default
বাংলাদেশ

লুডু খেলা নিয়ে দিনে দুই বন্ধুর ঝগড়া, রাতে হত্যা

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে লুডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্কুলছাত্র রাহাত তালুকদারকে (১৪) হত্যা করা হয়েছে। র‌্যাবের কাছে এই হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে তার বন্ধু বিপ্লব (১৮)। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর কোম্পানি কমান্ডার এরশাদুর রহমান এ তথ্য জানান। এর আগে শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে অভিযুক্ত বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়।

বিপ্লব কালিহাতী উপজেলার আগবানিয়ারা গ্রামের নবু মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক।

র‌্যাব কমান্ডার জানান, গত ২২ মার্চ কালিহাতী উপজেলার কাগুজিপাড়া বাজারে লুডু খেলা নিয়ে রাহাতের সঙ্গে বিপ্লবের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সূত্র ধরে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বিপ্লব। ওই দিন রাতেই রাহাতকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিপ্লব কাগুজিপাড়া বাজার থেকে একটি ধারালো ব্লেড কেনে এবং রাহাতকে অনুসরণ করতে থাকে। রাতে ওই বাজার থেকে একা নিজ বাড়িতে ফিরছিল রাহাত। এ সময় বিপ্লব তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে আগবানিয়ারা এলাকার জনৈক আবু তালেবের বাড়ির পশ্চিম পাশের একটি পুকুর পাড়ে পৌঁছালে বিপ্লব পেছন থেকে ডেকে থামায়। পরে তাকে সিগারেট খাওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং দুজন এক সঙ্গে সিগারেট খায়। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে বিপ্লব বাঁ হাত দিয়ে রাহাতের গলা চেপে ধরে এবং ডান হাত দিয়ে তার সঙ্গে থাকা ব্লেড দিয়ে গলায় কয়েকটি পোচ দেয়। তখন রাহাত বাঁচার জন্য চিৎকার করার চেষ্টা করলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে। ফলে দুই জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে রাহাত নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর বিপ্লব তার মুখে চেপে ধরে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ পুকুরে ফেলে সেখান থেকে চলে যায়। লাশ উদ্ধারের পর নিহতের বাবা মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি বিপ্লবকে কালিহাতী থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে স্কুলছাত্র রাহাতের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

 

 

 

Source link

Related posts

মিয়ানমারে গোলাগুলি, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক

News Desk

করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল বাংলাদেশ, আক্রান্তের হার কিছুটা কম

News Desk

বাকেরগঞ্জে বাস দুর্ঘটনা, আহত ৩০

News Desk

Leave a Comment