Image default
বাংলাদেশ

বিল না দেওয়ায় ৫ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

বছরের পর বছর বিল না দেওয়ার কারণে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এসব ইউনিয়ন পরিষদের কাছে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুই লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৪ টাকা বিল পাওনা রয়েছে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সাদুল্লাপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল হক।

অভিযোগ উঠেছে, দফায় দফায় বিল পরিশোধের জন্য চেয়ারম্যানদের চিঠি দিলেও তা আমলে না নেওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ইউনিয়নগুলো হলো- ১নং রসুলপুর, ২নং নলডাঙ্গা, ৩নং দামোদরপুর, ৫নং ফরিদপুর ও ৮নং ভাতগ্রাম।

মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রসুলপুর ইউনিয়নের ২৪ মাসের ৩৭ হাজার ৯৬৬, নলডাঙ্গায় ৩২ মাসের ৫৮ হাজার ৬৬৬, দামোদরপুরের সাত মাসের ২৮ হাজার ৩১৮, ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩০ মাসের ৪৭ হাজার ২১ ও ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কাছে ২০ মাসের ৬১ হাজার ৬৮৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বকেয়া পরিশোধের জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের মে মাসে ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত বাকি চার ইউনিয়ন পরিষদেরও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসব বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য দ্রুতই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে চূড়ান্ত (লাল নোটিশ) চিঠি দেওয়া হবে। এরপরও বিল না দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ইউনিয়ন পরিষদে জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা। কেউ কেউ দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। আবার অনেকেই পরিষদ কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের উদাসীনতা ও অবহেলাকেই দায়ী করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

এসব ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কোনও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া পরিষদের আইপিএস ও সোলার যা আছে তা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের ধারণ ক্ষমতা নেই। ফলে প্রতিনিয়তই পরিষদে এসে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। তবে এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যানদের ফোন দিলেও তারা সদুত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মোছা. রোখছানা বেগম বলেন, ‘এসব ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য সাদুল্লাপুরের ইউএনওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই পরিষদ কার্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হলে সেবাপ্রত্যাশী মানুষের ভোগান্তির অবসান হবে।’

Source link

Related posts

১৫০ কোটি টাকায় নদী খনন, ভরাট করে চলছে চাষাবাদ

News Desk

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন দৃশ্যমান, উদ্বোধন ১২ নভেম্বর

News Desk

ঘুষ না দিলে মেলে না ভূমিসেবা

News Desk

Leave a Comment