Image default
বাংলাদেশ

শীত-বৃষ্টিতে ভোগান্তি, তাপমাত্রা আরও কমার আভাস

‘কয়দিন থাকি বেশি ঠান্ডাত গাড়ি (রিকশা) চলায়া শরীর খারাপ হইছে। পেটের দায় তাও গাড়ি নিয়া বের হইছি। কিন্তু আইজ ঝড়িতে (বৃষ্টিতে) মানুষ বেড়ায় নাই। কেমন করি কামাই হইবে! পেট তো ঠান্ডা-ঝড়ি মানে না।’ জেলা শহরে রিকশা নিয়ে বের হওয়া রিকশাচালক ইয়াসিন বলছিলেন কথাগুলো।

একই অবস্থা সদরের হলোখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা রিকশাচালক নছর আলীর। তিনি বলেন, ‘ঠান্ডার সঙ্গে বৃষ্টি, সকাল থাকি যাত্রী নাই। সবারে ভোগান্তি।’

মাঘের শেষ ভাগে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বৃষ্টির আগমন জনভোগান্তি বাড়িয়েছে বহুগুণে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে শুরু হওয়া বজ্রসহ বৃষ্টি শীতের তীব্রতায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষত, যারা দিনমজুর, একদিন রোজগার না করলে যাদের পরিবারের মুখে খাবার জোগান দেওয়া কষ্টসাধ্য তাদের বিড়ম্বনা বেড়েছে। অনেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রোজগারের আশায় বের হলেও নিরাশ হয়ে দুশ্চিন্তাকে সঙ্গী করে ঘুরে ফিরছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ দিন জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলমান থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, দুই দিনের বৃষ্টিপাত শেষে তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস পেয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর ১৫ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির পর তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।

‘প্রকৃতি থেকে শীত বিদায়ের ঘণ্টা বাজাতেই এই বৃষ্টিপাত বলা চলে’, বলেন এই আবহাওয়াবিদ।

Source link

Related posts

একসময়ের খরস্রোতা নদী পরিণত হয়েছে মরা খালে

News Desk

কাপ্তাইয়ে পর পর আগুনে পুড়লো দুটি গাড়ি

News Desk

মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেলো ছেলেরও

News Desk

Leave a Comment