Image default
জীবনী

আরমান আলিফের জন্ম ,ক্যারিয়ার ,সম্পূর্ণ জীবনী

আরমান আলিফ একজন উদীয়মান বাংলাদেশী গায়ক যিনি মিডিয়ার বিশাল মনোযোগ আকর্ষণ করেন যখন অন্যান্য ক্রিকেটারের সাথে সাকিব আল হাসান ট্রায়াল রুমে গানটি গাইতেন। সত্যিকার অর্থে, তিনি গান গেয়েছিলেন তার গান ‘ওপোরাধী’ গান গাওয়ার আগে। এখন, গায়ক একটি ইন্টারনেট সেন্সেশন রয়েছে যা বিপুল সংখ্যক YouTube অনুসরণকারী।

আরমান আলিফ ব্যক্তিগত বিবরণ:

 

পূর্ণ নাম:  আরমান আলিফ
জন্ম তারিখ: ৯ নভেম্বার ২০০০
জন্মস্থান: নেত্রকোনা, বাংলাদেশ
জাতীয়তা বাংলাদেশী
উচ্চতা: ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি
ওজন: ৬২ কেজি
শিক্ষা: ঢাকা কমার্স কলেজ
পেশা: গায়ক ও ছাত্র
বছর সক্রিয়: 2017-বর্তমান
পরিবার : বাবা মা ২ ভাই ১ বোন
পত্নী (গুলি): NA
ধর্ম: ইসলাম
রাশিচক্র চিহ্ন: মেষ
ব্যান্ড: চন্দ্রবিন্দু
উল্লেকযোগ্য গান: নিকটিন , নেশা ও সর্বশেষ অপরাধী

 

আরমান আলিফ প্রাথমিক জীবন:

আরমান আলিফের জন্ম নেত্রকোনা, বাংলাদেশে ২000 সালে। তিনি এই জেলায় উত্থাপিত এবং এখানে স্কুলে সম্পন্ন। এখন আলিফ ঢাকা কমার্স কলেজে পড়াশোনা করছেন। তাঁর মায়ের নাম লিপি আক্তার যিনি তাঁকে একজন গায়ক হতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি একটি ভাই এবং একটি বোন আছে। আলিফ শৈশবের শৈশব থেকে সঙ্গীত আঙ্গিনা সম্পর্কে এত উত্সাহী ছিল এবং কোনো পুত্র হামিং গাইতে চেষ্টা।

আরমান আলিফ ক্যারিয়ার:

২017 সালে ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’ ব্যান্ডে সঙ্গীত আর্মিতে যাত্রা শুরু করেছিলেন আরমান আলিফ। এই বছর তিনি প্রথম একক ‘নিকোটিন’ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর আরমান দ্বিতীয় গান ‘নাশা’ মুক্তি। দুটি গান সঙ্গীত আঙ্গুল যথেষ্ট hype না। কিন্তু তিনি তার তৃতীয় গান ‘ওপোরাধী’ মুক্তি যখন টাইমলাইন আসে। গানটি তাকে সারা দেশে রাতারাতি গায়ক বানিয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছিল যা ইউটিউব 100 গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছিল। গান ইতিমধ্যে 41 মিলিয়ন মতামত অর্জন করেছে। তিনি বাংলাদেশি গায়ক নানসি এবং বালাম দ্বারা যথেষ্ট অনুপ্রাণিত।

রেকর্ড বয় আরমান আলিফ:

বাংলাদেশের সংগীত ইতিহাসে অনন্য এক রেকর্ডই গড়েছে আরমান আলিফের ‘অপরাধী’। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েই গানটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়। প্রথম বাংলা গান হিসেবে ইউটিউবে ১০ কোটি ভিউয়ারের মাইলফলক স্পর্শ করে। ১৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত গানটির ভিউয়ার ছিল ১১ কোটি পাঁচ লাখের বেশি! গত ২৬ এপ্রিল ঈগল মিউজিক ভিডিও স্টেশনে গানটির ভিডিও আপলোড করা হয়। এর পর থেকেই ভাইরাল। প্রথম ১৪ দিনেই পেয়ে যায় কোটি ভিউয়ার। এরপর দিন যত গড়িয়েছে ততই ছড়িয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শুরুর আগে ড্রেসিংরুমে গানটি গেয়ে ভিডিও প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গ্লোবাল র্যাংকিংয়ের উঠে আসে ৬০ নম্বরে। এই এক গানই তারকা বানিয়ে দিয়েছে গানটির গায়ক, গীতিকার ও সুরকার আরমান আলিফকে। পথে-ঘাটে এখানে সেখানে সবখানেই বাজতে শোনা যায় গানটি। পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও গানটির ব্যাপক চাহিদা। এত জনপ্রিয়তার পরও একটি পক্ষ গানটিকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। এই তালিকায় সমালোচক থেকে সংগীতের লোকজনও আছেন। তাঁদের মতে, ‘এই গান যতই ভাইরাল কিংবা হিট হোক না কেন প্রকৃতপক্ষে এটা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখে না। এই গান দিয়ে বিশ্ব বাংলাদেশকে চিনে থাকলে সেটা বাংলাদেশের জন্যই সুখবর নয়!’ তবে এসবে কান দিতে চান না গায়ক। বলেন, “২০১৭ সালের শেষ দিকে একদিন বিকেলে আমার ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’র বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎই সুরটা মাথায় আসে। সুরের সঙ্গে কথাও লিখতে থাকি। ১৫ মিনিটের মধ্যে পুরো গান হয়ে যায়। সেখানেই বসেই ভিডিও করে আমার ব্যাক্তিগত চ্যানেলে আপলোড করি। তারপর ঈগল মিউজিক প্রস্তাব দিলে নতুনভাবে গানটি করি। ভিডিওটি পুনরায় করা হয়। গানটি যে এতদূর চলে আসবে তা ভাবিনি। বিরহের সঙ্গে এন্টারটেইন জুড়ে দিয়ে গানটি করেছি। কোটি মানুষের ভালোবাসা পেলেও কেউ কেউ গানটির সমালোচনা করছেন। সবার মতামতকেই আমি সম্মানের চোখে দেখছি।”

গানটি কেন মানুষ এতটা পছন্দ করল? আরমান বলেন, ‘আমি একেবারে সহজ কথায় গান করার চেষ্টা করি। কারণ গানের কথা সহজ হলে শ্রোতাদের বুঝতে ও শুনতে সুবিধা হয়। তাঁরা এর সঙ্গে কানেক্টও করতে পারেন তাড়াতাড়ি। এই গানটির কথা ও সুর দুটিই অনেক সহজ। যাঁরা শুনেছেন, পছন্দ করেছেন হয়তো গানটির কোনো না কোনো অংশ তাঁদের জীবনের সঙ্গে মিলে গেছে। আর কেউ হয়তো শুনে আনন্দ পেয়েছেন। এটাই একজন শিল্পীর সার্থকতা।’

আরো যোগ করেন, ‘এই গান নিয়ে মানুষের কাছ থেকে এত এত রেসপন্স পাচ্ছি, গল্প শুনছি—বলে শেষ করা যাবে না। বলা যায় এই গান আমার জীবনটাকেই বদলে দিয়েছে।’

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ঝোঁক এইচএসসি পড়ুয়া এই তরুণের। জন্ম নেত্রকোনায়। গান করার স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’। ‘অপরাধী’ দিয়ে হিট হলেও গান প্রকাশ করছেন আরো আগে থেকে। ইউটিউবে প্রকাশিত তাঁর গানের তালিকায় আরো রয়েছে—‘ফানুস’, ‘নিকোটিন’, ‘আয়না’, ‘মায়ার বসবাস’, ‘দূরের তারা’, ‘শূন্যতা’, ‘দেবী’ প্রভৃতি।

ব্যক্তিগত জীবন:

ব্যক্তিগত জীবনে, আরমান আলিফ এখনও অবিবাহিত। নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে যে তাঁর বিপুল সংখ্যক মহিলা ভক্ত রয়েছে এবং এই ভক্তদের কাছে এটি আনন্দদায়ক।

Related posts

জয়া আহসান জীবনী, উচ্চতা, বয়স, ফটো, ফ্যামিলি,সিনেমা,স্বামী, এবং সম্পূর্ণ প্রোফাইল

News Desk

জয়নাল হাজারীর আত্মজীবনী

News Desk

মার্টিন লুথার কিং: একজন কিংবদন্তির গল্প

News Desk

Leave a Comment