Image default
বাংলাদেশ

সেফুদার ‘নাতনি’ হেলেনা হতে চেয়েছিলেন ‘মাদার তেরেসা’

আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের সঙ্গে অস্ট্রিয়া প্রবাসী আলোচিত সেফুদার যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সেফুদা তাকে নাতনি হিসেবে সম্বোধন করতেন এবং তাদের আর্থিক লেনদেনও ছিল। এ ছাড়া, অপকৌশলের মাধ্যমে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লী মাতা’ ও ‘প্রবাসী মাতা’ হিসেবেও হেলেনা জাহাঙ্গীর পরিচিতি পেতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। মঈন বলেন, ‘সেফুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশবাসীর নজর কাড়তে চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত হেলেনার নিয়মিত যোগাযোগ ও লেনদেন রয়েছে।’ জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা জাহাঙ্গীর র‌্যাবকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, অপকৌশলের মাধ্যমে নিজেকে ‘মাদার তেরেসা’, ‘পল্লী মাতা’ ও ‘প্রবাসী মাতা’ হিসেবে পরিচিতি পেতে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন হেলেনা। তার পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্রটি এসব ভূয়া খেতাবের অপপ্রচার চালাত। বিভিন্ন দেশি সংস্থা ও ব্যক্তি থেকে জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে অর্থ সংগ্রহ করতেন। যা মানবিক সহায়তায় ব্যবহারের চেয়ে গ্রেফতারকৃতের খেতাব প্রচার প্রচারণায় বেশি ব্যবহার করা হতো।

হেলেনা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে নিজের বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেন। তার প্রায় ১২টি ক্লাবের সদস্যপদ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

আজ শুক্রবার দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় হেলেনাকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় র‍্যাব। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছাড়াও মাদক আইন, বন্যপ্রাণী আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র‍্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মালিকানাধীন জয়যাত্রা আইপি টিভি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের ভবনেও অভিযান চালায় র‌্যাব। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলমান এই অভিযান শেষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল এ এম আজাদ জানান, টিভি চ্যানেলটির অনুমোদন থাকার কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

Related posts

কক্সবাজারে আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২

News Desk

কক্সবাজার সৈকতে ৩ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে ২৪৫টি প্রতিমা বিসর্জন

News Desk

মধ্যরাত থেকে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

News Desk

Leave a Comment