Image default
বাংলাদেশ

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার চর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি চরাঞ্চলগুলোতে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বাসিন্দারা। ব্যারাজ রক্ষায় সবকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত সাড়ে ৯টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং বুধবার (৭ জুলাই) ৩০ সেন্টিমিটার নিচে তিস্তা নদীর পানি। বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে গত ৪ জুলাই তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে তিস্তাবেষ্টিত গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। পরদিন থেকে পানি কমতে থাকলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বিকেল থেকে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে করে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহের স্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে রাত ৯টায় তা ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভারতের গোজলডোবা ব্যারাজের উজানে বন্যার কারণে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে তিস্তার পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ডাউয়াবাড়ি নামক স্থানে তিস্তা ডানতীর বাঁধে তিস্তার পানি আঘাত হানছে। সেখানে বালির বস্তা ফেলানো হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

এদিকে, তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্ন অঞ্চলের বাড়িঘরে পানি উঠে গেছে। পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।

Related posts

ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে ২৭ উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত

News Desk

বিবির বাজার দিয়ে যাত্রী পারাপারে রেকর্ড, ২০৯ কোটি টাকার পণ্য রফতানি

News Desk

ভূমি জটিলতায় আটকে আছে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম নির্মাণ

News Desk

Leave a Comment