Image default
বাংলাদেশ

লকডাউন মাঠে থাকবে বিজিবি-সেনাবাহিনী

কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার (২৮ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনী, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ সবাই টহলে থাকবে। তাদের যতটুকু সময় যা দরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অথরিটি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যাতে কোনোভাবেই মানুষ গণহারে লকডাউন ব্রেক করতে না পারে। সেটা তারা মনিটরিং করবে। আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ দিতে যাচ্ছে সরকার।

কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন থেকে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘স্ট্রিক্ট ভিউতে (কঠোর অবস্থানে) যাচ্ছি আমরা। এতটুকুই শুধু বলে দিলাম। ১ তারিখ ভোর ৬টা থেকে ৭ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত স্ট্রিক্ট ভিউতে যাচ্ছি আমরা। খুবই স্ট্রিক্ট ভিউতে, কারণ চারটি জেলার সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে দেখেছি। সেখানে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, ডিআইজি, এসপি, সিভিল সার্জন, পরিচালক, জনপ্রতিনিধি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান সবাই ছিলেন। সবারই বক্তব্য এবং সেখানে গ্রাফিক প্রেজেন্টেশন তাতে দেখা যাচ্ছে যে, দেশের একটা বড় অংশ অরেঞ্জ, রেড বা ব্রাউন হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখন আমাদের বিধিনিষেধ আরোপ করা ছাড়া উপায় নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু বাস্তব কারণের জন্য আমরা ৩০ জুন পর্যন্ত (কঠোর বিধিনিষেধ) করতে পারছি না। সেজন্য ১ তারিখ থেকে স্ট্রিক্ট রেস্ট্রিকশনে যাচ্ছি আমরা। লকডাউনে দরিদ্র মানুষের কী হবে, এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘আজকে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রীকে পরিষ্কারভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে- সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যথাসম্ভব গত বছর যেভাবে করা হয়েছিল, সেভাবে একটা প্রোগ্রাম ছকআউট করে করার জন্য বলা হয়েছে। বিশেষ করে শহর এলাকায় সমস্যা হয়, সেদিকে নজর দিয়ে যাতে তাদের যথাযথভাবে সাহায্য করা যায়।

বাস্তবায়ন কৌশল কী হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত পরশু দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সবাই বসেছি। আগামীকাল না হলেও পরশু আবার বসে বিস্তারিত বলে দেব, ইনশাআল্লাহ। কঠোর বিধিনিষেধের বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি। রিকশা কিংবা শিল্পকারখানা খোলা থাকবে কিনা- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কালকে আমরা বিস্তারিত অর্ডার করে দেব। আরেকটু আলোচনা করে নিই।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের পর দেখা যায় পুলিশ মুভমেন্ট পাস দেয়- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবার মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না, পরিষ্কার কথা। যারা জরুরি কাজের সঙ্গে জড়িত তারা চলাচল করবে। দাফন-কাফনের কাজ করা যাবে। কোনো রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন সেটা যেতে পারবেন।

৭ জুলাইয়ের পর বিধিনিষেধ বাড়বে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা দেখি, আমাদের যে অভিজ্ঞতা সেখানে দেখেছি, ১৫-২০ দিনে সুপারভাইস করছি, যেসব এলাকায় যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিকলি ব্লক করে দেয়াতে (করোনা সংক্রমণ) অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরাতে ইম্প্রুভ করেছে। যেখানে যেখানে আইসোলেটেড করে দিয়েছি, মুভমেন্ট রেস্ট্রিকটেড করে দিছি, সেখানে সেখানে ইম্প্রুভ করেছে। সরকার যদি মনে করে আরও সাত দিন যেতে হবে, সেটাও বিবেচনায় আছে।

এর আগে গত ২৫ জুন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।

Related posts

আমাদের বাবা-মা কোনোদিন ভালো রাজনীতিবিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখায়নি: সারজিস

News Desk

ঈদে সাজেকে ঢল নামবে পর্যটকের, সব রিসোর্ট আগাম বুকিং

News Desk

মঙ্গলবার বাজারে আসছে দুই ও পাঁচ টাকার নতুন নোট

News Desk

Leave a Comment