ভারতে করোনার ভয়ঙ্কর থাবার পরও ২০২২ সালের মধ্যে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য ১০০ কোটি ডোজ টিকা তৈরির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দেশটির, তা পূরণ হবে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেইল।
মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নিজের এ আশার কথা বলেন তিনি। টিকা উৎপাদনের এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারত ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে ওয়াশিংটন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অবশ্যই, আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা খুবই কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র দিল্লির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এরসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে তাদের পাশে থেকে কাজ করার জন্য অন্যদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের মধ্যে টিকা উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সব প্রক্রিয়া সেটি পূরণের সঠিক পথে রয়েছে বলেও জানান তিনি। ক্যাম্পবেইল বলেন, আমরা মনে করে একমাত্র টিকা কূটনীতি দিয়েই এই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। আমরা সেটা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোয়াড নামে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান এবং অষ্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত গ্রুপটির মার্চের শীর্ষ সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত এসেছিল যে, ভারতীয় ওষুধনির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড ২০২২ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে মানুষের কাছে এ টিকা যাবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে ভারত। সে কারণে দেশটি টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। করোনার টিকার জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে ছিল বিশ্বের বহু দেশ। তবে দেশটি এখন মূলত নিজেদের জনগোষ্ঠীকে আগে টিকার আওতায় আনার পথে এগোচ্ছে।