Image default
আন্তর্জাতিক

ভারতে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী, বাড়লো মৃতের সংখ্যাও

আতঙ্ক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করে দেশে ফের ঊর্দ্ধমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ, তবে আশার খবর হলো, দেশটিতে ক্রমশ নিম্নগামী করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। অপরদিকে, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের বেশ কিছু রাজ্যের করোনার গ্রাফ আর তার জেরে এখনও চিন্তার ভাঁজ সরছে না সেসব রাজ্য সরকারের।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ হাজার ৭১৯ জন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি এবং এক দিনে দেশে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ২৮০ জন। যা বিগত কয়েকদিনের যাবৎ আরো নিম্নমুখী, আর যার ফলে চিন্তা বাড়ছে ক্রমশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় বলি হয়েছেন ২ হাজার ২২২ জন। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। এই নিয়ে এখনও অবধি দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫৫৭ জন।

অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের গন্ডি পেরিয়েছে ২ কোটি ৯০ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৭৬ জন। এই পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯৬ হাজার ১৯৮ জন। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৫০ জন। এরই মধ্যে দেশে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে  দিল্লি, মহারাষ্ট্র-র মতন বেশ কিছু রাজ্যে। ঠিক তেমনি বেশ কিছু রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে সংক্রমণে রাশ টানতে।

অপরদিকে, দেশে সৃষ্টি হয়েছে চরম টিকার সঙ্কট। আর যার জেরে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।

উল্লেখ্য, বছরের প্রথম থেকে কোভিড যুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণটিকাকরণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশের ২৩ কোটি  ৬১ লক্ষ  ৯৮ হাজার  ৭২৬ জন পেয়েছেন করোনা ভ্যাকসিন।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, এরকম কোনো তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে যে শিশু ও কমবয়সীরা বেশি আক্রান্ত হবে তা নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, ভারতে এবং বিশ্বজুড়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সব তথ্য খতিয়ে দেখে এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি যে, শিশুরা তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হবে।

গুলেরিয়া আরও জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যে তথ্য আমরা পেয়েছি তাতে যে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ার পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাদের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল। এবং যাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়েনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Related posts

মাস পেরোনোর আগেই বন্ধ হলো ট্রাম্পের ব্লগসাইট

News Desk

আর্থিক সংকটে বেসামাল ইউরোপ কি ইউক্রেনের পাশ থেকে সরে যাবে

News Desk

আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসা সহজ নয়: ন্যাটো চিফ

News Desk

Leave a Comment