Image default
মুক্তিযুদ্ধ

কর্ণফুলীরতে একাত্তরের শহীদ সমাধিতে প্রথম বাতি জ্বললো

স্বাধীনতার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বাতি জ্বললো কর্ণফুলী উপজেলার একাত্তরের গণহত্যায় শিকার শহীদদের সমাধিতে। শুক্রবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বধ্যভূমিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের শোক স্মারক প্রদান করা হয়।

এছাড়াও গণকবর চিহ্নিত ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন এবং ইতিহাস গবেষক জামাল উদ্দিনকে কৃতজ্ঞতা স্মারক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, এশিয়াটিক সোসাইটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জামাল উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, রিচার্ড ডি’রোজা, মাইকেল মরেজ, বিট ইনচার্জ নাসির উদ্দিন।

শহীদ পরিবারের পক্ষে তেজেন্দ্র দাশ, দীননাথ দাশ, তপন দাশ, মিন্টু দাশ, মিশু দাশ, শাহ্ আলম, আবদুর রহিম এবং কর্ণফুলী থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী রামচন্দ্র দাশ, সাধারণ সম্পাদক মান্না দে, সহসভাপতি পুলক দাশ মিটু, শিবু দাশ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৩১ নভেম্বর পশ্চিম জুলধা গ্রামের ১৩ জনকে পাকিস্তানি সৈন্যরা ধরে নিয়ে এসে গুলি করেন দেয়াং পাহাড়ের বিখ্যাত নালী কূয়ার কাছে এক সমতল জায়গায়। এতে ৯ জন মারা যায়, দুইজন গুলিতে আহত হন। বাকি দুইজনের মধ্যে একজন স্কুল বালককে ছেড়ে দেয়, আরেকজন স্থানীয় রাজাকারের সহায়তায় সাথে থাকা ১২০ টাকার বিনিময়ে মুক্তি পান।

Related posts

একনজরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স

News Desk

মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র

News Desk

বর্তমান পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কী জানে এবং কতটা জানে?

News Desk

Leave a Comment