Image default
আন্তর্জাতিক

রাশিয়ার কারাগারে পোশাক তৈরি করছেন মার্কিন নৌ-কর্মকর্তা

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক পল হুইলান। দেশটির সাধারণ কোনো নাগরিক নন তিনি। পল হুইলান মার্কিন নৌ-বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা। বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাধর দেশের সাবেক এই নৌকর্মী বর্তমানে রাশিয়ার কারাগারে প্রতিদিন পোশাক তৈরির কাজ করছেন।

মার্কিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে পল হুইলান এ কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর মস্কো থেকে পল হুইলানকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। যদিও তিনি জোরালোভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু রাশিয়ার একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৬ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিক পল যুক্তরাজ্য, আইরিশ এবং কানাডারও নাগরিক। রাশিয়ার মস্কো শহরে এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাশিয়ার গোয়েন্দারা।

সম্প্রতি সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাতকারে পল হুইলান বলেন, ৮৮৮ দিন যাবৎ তিনি জেলে আছেন। তাকে মরদোভিয়ার লেবার ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। রাশিয়ার মস্কো থেকে ক্যাম্পটির দূরত্ব আট ঘন্টা।

পোশাক কারখানায় প্রতিদিন কাজ করতে হচ্ছে উল্লেখ করে পল বলেন, এটা আসলে পোশাক কারখানা নয়, ‘সোয়েটশপ’। সোয়েটশপ হলো এমন কারখানা যেখানে নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিকদের দিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করানো হয়।

প্রতিদিন একই সময়ে কাজ করতে হয় উল্লেখ করে পল বলেন, আমরা সকাল ছটায় উঠি। এরপর ১০ মিনিট ব্যায়াম করতে দেওয়া হয়। ২০ মিনিট নাস্তা করার পর কাজ শুরু হয়। লাঞ্চ করার জন্যও ২০ মিনিট দেওয়া হয় জানিয়ে পল বলেন, সমস্ত বিকেল ধরে কাজ করতে হয়। এরপর তারা কাপড় পরিষ্কার করা, চিঠি লেখার মতো কাজ করেন।
সাক্ষাতকারে পল তার মুক্তির জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সবাই জানে আমি নির্দোষ। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে আমাকে জেল দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া যখন তাকে কারাদণ্ড প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র সে সময় নিন্দা জানায়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পলের বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Related posts

ফিরে এসেছে পারমাণবিক সংঘর্ষের ঝুঁকি: গুতেরেস

News Desk

ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান বেলারুশের

News Desk

যুদ্ধ বন্ধের তাগিদ মোদির, পুতিনের প্রশংসা

News Desk

Leave a Comment