Image default
খেলা

এবার ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে শক্ত অবস্থানে বিসিবি

বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৪ মাস পর এই টুর্নামেন্ট মাঠে ফিরল। মাঝে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হলেও দুই রাউন্ড পর বন্ধ যায় সেই টুর্নামেন্ট। এবার ১২ দলের ডিপিএল মাঠে ফিরিয়ে সুরক্ষা বলয় তৈরিতে আত্মবিশ্বাসী বিসিবি। সামনে জাতীয় দলের ঠাঁসা সূচি থাকলেও নিয়মিত ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো চলবে বলে জানালেন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী।

করোনাভাইরসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। স্থগিত থাকা সিরিজ ও টুর্নামেন্টগুলো আবার আলোর মুখ দেখছে। এতে আন্তর্জাতিক সূচিতে চাপ বেড়েছে দলগুলোর। সামনে যে পরিমাণ খেলা আছে, তাতে দেশের হয়ে খেলতেই বছরের অধিকাংশ সময় কেটে যাবে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমদের। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানালেন, সামনে জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচি থাকলেও ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনে সেটি প্রভাব পড়বে না।

এ প্রসঙ্গে আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনে প্রভাব পড়বে না। আমরা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি যে, আগামীতে যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে ঘরোয়া ক্রিকেটের সংঘর্ষ হয় তাহলে আমাদের আন্তর্জাতিক খেলার বাইরের খেলোয়াড়দের নিয়েই ঘরোয়া ক্রিকেট করতে হবে। আমাদের এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই খেলা চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সূচি একসঙ্গে পড়ে গেলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ঘরোয়া ক্রিকেটে পাওয়া যাবে না।’

সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে দম ফেলানোর ফুরসত নেই ক্রিকেটারদের। চলতি মাসেই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে রওয়ানা করবে জাতীয় দল। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মতো দলকে আতিথ্য দেবে টাইগাররা। সিরিজ চলাকালীন খেলোয়াড়দের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে হয়। দীর্ঘ সময় সুরক্ষা বলয়ে থাকা বেশ চ্যালেঞ্জিং মানছেন সুজন। তবে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে বলে জানালেন তিনি।

সুজন বলেন, ‘আইসিসিতে আমাদের মূল কথাই ছিল আমরা আরও বেশি খেলতে চাই। আগে আমাদের খেলা বেশি থাকত না বা অনেক দিন পর পর টেস্ট খেলতাম। এখন যেভাবে আন্তর্জাতিক সূচি হচ্ছে, তাতে ভারসাম্য আছে। হোম-অ্যাওয়ে সবখানেই খেলা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল লজিস্টিকাল ও অন্যান্য এরেঞ্জমেন্ট নিয়ে, কোয়ারেন্টাইনের সময় নিয়ে সফর চালিয়ে যাওয়া। কোনো কেনো ক্ষেত্রে অনুশীলনও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। এটাই বাস্তবতা। এসব বিষয় এখন মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের যা করতে হচ্ছে অন্যদেরও তা করতে হচ্ছে।

Related posts

ক্যাল র‌্যালি আমার বাবার সাথে একটি পূর্ণ বৃত্ত উপভোগ করে, তার ভাই হাউস রন ডার্বিতে অংশ নেয়

News Desk

ট্র্যাভিস কিলি নেতারা ঘোরাঘুরি

News Desk

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অঙ্ক কষছে কিশোর ফুটবল দল

News Desk

Leave a Comment