Image default
আন্তর্জাতিক

টিকায় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, আদর পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

ভারতে প্রস্তুতকৃত করোনা টিকা কোভিশিল্ডের ডোজে দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি দাবি করে এই টিকার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার স্বত্ত্বাধিকারী ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালাসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনৌয়ের এক ব্যক্তি।

প্রতাপ চন্দ্র নামের ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার লখনৌয়ের আশিয়ানা থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগে অভিযুক্তের তালিকায় আদর পুনাওয়ালা ছাড়া অন্য তিনজন হলেন— ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের পরিচালক বলরাম ভার্গভ এবং ভারতের জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ মিশনের পরিচালক অপর্ণা উপাধ্যায়।

অভিযোগে প্রতাপ চন্দ্র উল্লেখ করেন, গত ০৮ এপ্রিল তিনি কোভিশিল্ড করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। ২৮ দিন পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা ছিল তার, কিন্তু ওইদিন সরকারি টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে তিনি জানতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুসারে টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, তিনি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন আরও ছয় সপ্তাহ পর।

প্রতাপ জানান, এর পর সরকার অনুমোদিত একটি ল্যাব থেকে করোনা অ্যান্টিবডি জিটি টেস্ট করান তিনি। সেই পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার দেহে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কোনো অ্যান্টিবডি তৈরি তো হয়ইনি, উল্টো তার রক্তে প্ল্যাটিলেট এর পরিমাণ তিন লাখ থেকে কমে অর্ধেক, অর্থাৎ দেড় লাখ হয়ে গেছে।

ফলে, টিকা নেওয়ার পর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা তার বেড়ে গেছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন প্রতাপ।

ভারতের বার্তাসংস্থা আইএনস সূত্রে জানা গেছে, প্রতাপ চন্দ্র প্রথমে মামলা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আশিয়ানা থানার পুলিশ এটি অভিযোগ আকারেই গ্রহণ করেছে; পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি অবহিত করেছে স্থানীয় পুলিশ।

তবে প্রতাপ চন্দ্র হুমকি দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করা হলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে দেশজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ভারতে। প্রথম পর্যায়ে দেশটির ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ড এবং একই কোম্পানির তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে এই কর্মসূচিতে।

তবে বর্তমানে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ৫ ও গণটিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অচিরেই এই কর্মসূচিতে চীনের করোনা সিনোফার্মও ব্যবহার করা হবে।

Related posts

‘ফের ইমরানের ওপর হামলা হতে পারে’

News Desk

ইউক্রেন অস্ত্রসমর্পণ করলে আলোচনায় বসতে রাজি রাশিয়া

News Desk

৫০ রাশিয়ান সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর

News Desk

Leave a Comment