ভারতে অনুষ্ঠিত জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে আরেকটি জয় পেল বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হকি গৌরবের একটি রাত। হকিতে পরাক্রমশালী কোরিয়াকে হারানো সহজ কীর্তি নয়।
তবে গতকালের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়া নিশ্চিত জিতত। মুন্না, হুজাইফা, আমান, সাইয়াম, দ্বীন ইসলাম, আশরাফুল আমিরুল, সামিন কেড়ে নেয়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব 21 হকি দল চেন্নাই থেকে মাদুরাই এসেছে। গতকাল তারা ওমানকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছে।
<\/span>“}”>
আগামীকাল অস্ট্রিয়ার ম্যাচ। তারা জিতলে অনূর্ধ্ব-২১ বিশ্বকাপে হকি অ্যারেনায় টানা তিনটি জয়ের রেকর্ড হবে এবং এটি হবে নতুন ইতিহাস। এদিকে বাংলাদেশকে শিল্ড দেওয়া হবে। মাদুরাই হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান জানান, নিচের গ্রুপে ৮টি দল খেলবে। শুনেছি এখানে তিনটি ম্যাচ জিতলে তারা কাপ বা শিল্ড দেবে। তিনি বললেনঃ যে কোন দিকে। আমরা শেষ ম্যাচেও জিততে চাই। ছেলেরা ভাল খেলে, এবং তারা শোনে। আমরা আরও ভালো করার চেষ্টা করব। এটা একটু একটু করে ঘটছে। পরেরটি শুধুমাত্র ভাল করা যেতে পারে।
গতকাল মাদুরাইয়ে মাঠের গোলে কোরিয়া প্রথম কোয়ার্টারে ১-০ ব্যবধানে এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে হেডারে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। পেছনের খেলায় পেনাল্টি কিক পায় বাংলাদেশের ছেলেরা। তারকা পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞ আমির আল ইসলাম দুই মিনিটের মধ্যে দুটি পেনাল্টি কিক থেকে গোল করেন, স্কোর ২-২। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে দুই গোল করে ২-২ স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় কোয়ার্টারে, আমির আল-ইসলাম কর্নার কিক থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন, স্কোর ৩-২। বাংলাদেশ এগিয়ে যায়, আর শুরু হয় উত্তেজনাপূর্ণ যুদ্ধ। দুই গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশি তরুণ ফিরে এসে হ্যাটট্রিক করে লিড নেয়। মাঠের গোলে স্কোরবোর্ড ৪-২।
<\/span>“}”>

কোরিয়া শেষ কোয়ার্টারে লড়াই করছিল। বাংলাদেশের কাছে হারের লজ্জা আমি মেনে নিতে পারছি না। কারণ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ৩ গোল করে ম্যাচকে ড্রয়ে নিয়ে যায়। হ্যাটট্রিক করেছেন আমির আল ইসলামও। এবারও আমিরুলের মাদক ও ফ্লিকে পরাজিত হওয়া কোরিয়া শেষ পয়েন্ট নিয়ে লড়াই শুরু করে। চতুর্থ কোয়ার্টারে কর্নার কিক থেকে গোল করে ঘাটতি কমিয়ে ৩-৪ করে কোরিয়া।
বৃষ্টি নামল শেখ পাড়ায়। কোরিয়া তার গোলরক্ষককে মাঠের বাইরে নিয়ে আক্রমণকারী খেলোয়াড়দের নামিয়ে সমতায় আনে। পেছনের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পোস্ট খালি হয়ে যায় এবং বাংলাদেশ গোলরক্ষক ছাড়াই খালি পোস্টে গোল করার সুযোগ পায়। রকির রেকর্ড 5-3। কোরিয়ার বিপক্ষে দুইবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন আমিরুল ইসলাম। আমির আল-ইসলাম গ্রুপ পর্বসহ 5 ম্যাচে 15 গোল করেছেন। হ্যাটট্রিক আছে ৪টি।

