বেতন নেই, বাজার নেই। সংকট অব্যাহত রয়েছে। মোহামেডানের খেলোয়াড়দের দুঃখ। তা সত্ত্বেও আবাহনীকে হারিয়ে বড় জয় পায় মোহামেডান। গত সোমবার বিকেলে কুমিল্লায় বাংলাদেশ ফুটবল লিগে আবাহনীকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। মোহামেডান এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে। পরে আবাহনী দুটি গোল করলেও হার ঠেকাতে পারেনি।
এই জয় মোহামেডানদের জন্য একটি বড় অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে। দলের যে ভঙ্গুর অবস্থা চলছে তার আলোকে মোহাম্মদিয়া ফুটবল খেলোয়াড়রা তাদের ভক্তদের জন্য একটি দুর্দান্ত বিজয় অর্জন করেছে। আবাহনীকে হারালে মোহাম্মদীয়া ফুটবলাররা তাদের প্রাপ্য পাবে বলে মনে করেন সমর্থকরা। কর্মকর্তারা সানন্দে এগিয়ে আসবেন এবং খেলোয়াড়দের বকেয়া হস্তান্তর করবেন। কিন্তু তার কিছুই হয়নি।
আবাহনীর পরাজয়ের পর দুই দিন অতিবাহিত হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেউ মোহাম্মদী ক্লাবে যাননি, খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেননি, কথা বলেননি। কথিত আছে যে তিনি ফোন করে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়ে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, টাকার কথা বললে আমাকে ফোন করবেন না। অনেক ফুটবলারই দাবি করেছেন ম্যাচ জেতার। আমি ভেবেছিলাম ক্লাব ম্যানেজাররা এসে আমাকে বুকে আলিঙ্গন করবেন, পিঠে চাপ দেবেন এবং আমাকে সাহস দেবেন। আমরা আমাদের পাওনা ফিরে পাব কেউ আসেনি। তিনি খোঁজ খবর নেননি।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আল-মুহাম্মদের অতিরিক্ত সাধারণ সভায় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি খেলোয়াড়দের সাহস যোগায়। আর্থিক সংকট নিরসন হবে, ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ আলমগীরসহ অন্যরা আবার ক্লাবে মিলিত হবেন, সংকট নিরসন হবে। কিন্তু তাদের কেউ আসছে না। এমনকি মোহাম্মদিয়া-আল-আবহানিয়া ম্যাচ দেখতেও যাননি কেউ। ফুটবল কমিটির প্রধানের কোনো তথ্য নেই। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক সংকট নিয়ে কথা বলেন না ফুটবল কমিটির প্রধান। টাকার ইস্যুতে তিনি নীরব। ক্লাবে ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত সূত্রে জানা গেছে, ফুটবল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এখন সঙ্কটের সময় তিনি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তাহলে কীভাবে চলবে?
<\/span>“}”>

গতকাল সন্ধ্যায় টেকনিক্যাল কমিটির কর্মকর্তারা ক্লাব পরিদর্শন করেন। প্রবীণরা সবার পক্ষে কথা বলেছেন। বেতনের দাবি। তাদের সংসার আছে, সংসার আছে, বাবা-মাকে টাকা পাঠাতে হবে। কিন্তু আলোচনার শেষে মৌখিক আশ্বাস, “ধৈর্য ধরুন।” আমরা চেষ্টা করছি। মন খারাপ করে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন ফুটবলাররা। ২৯ নভেম্বর মানিকগঞ্জে ফকিরাবুল ইয়ংমেনের বিপক্ষে মুহাম্মাদিয়ার ম্যাচ। এর আগে সমাধান হলে ভালো। তা না হলে মোহাম্মদিয়ার ফুটবলাররা প্রশিক্ষণে নাও আসতে পারেন।

