রাজশাহীর দুটি আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ
বাংলাদেশ

রাজশাহীর দুটি আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়কে শুয়ে অবরোধ করেছেন দলীয় একাংশের নেতাকর্মীরা। শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকালে পবা উপজেলার খড়খড়ি ও গোদাগাড়ীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

বিকালে রাজশাহী-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীরা গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী বাজার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক হয়ে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে যায়। এরপর নেতাকর্মীরা সেখানে শুয়ে পড়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে দুই পাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এ কর্মসূচিতে সুলতানুল ইসলাম তারেকের ছোটভাই সাইফুল ইসলাম হীরকসহ হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তারা এই আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনএমের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শরীফ উদ্দিন।

অপরদিকে, রাজশাহী-৩ আসনে দলের প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিল করার দাবিতে পবা উপজেলার খড়খড়ি এলাকায় রাজশাহী-নাটোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকরা। পরে সেখানে সমাবেশ করেন তারা। এতে বক্তব্য রাখেন পারিলা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা খায়রুল ইসলাম, পবা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, মোহনপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ শেষে নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেন, প্রার্থী পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তৃণমূলের মর্যাদা যখন বারবার উপেক্ষিত হয়, তখন এভাবে রাস্তায় শুয়ে পড়া ছাড়া আর কোনও পথ নেই। রাজশাহী বিভাগের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে স্থানীয় প্রার্থী মনোনয়ন পেলেও রাজশাহী-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হককে। তিনি দীর্ঘদিন স্থানীয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন এবং তিনি রাজশাহী-২ আসনের ভোটার। এই কারণে তৃণমূলের মধ্যে তার প্রতি ‘আস্থাহীনতা’ তৈরি হয়েছে।

পবা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা যে নেতাকে চিনি, যিনি দলীয় পতাকা বহন করে গ্রেফতার হয়েছেন, পালিয়ে থেকেও দলের পক্ষে কাজ করেছেন, সেই জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলমকে বাদ দিয়ে বহিরাগতকে মনোনয়ন দিলে তৃণমূল কখনোই সেটা মেনে নেবে না। আমরা দল ভাঙতে চাই না, কিন্তু তৃণমূলের ঘাম, রক্ত, ত্যাগকে যদি মূল্যায়ন না করা হয়, তাহলে কর্মীরা হতাশ হবেন, ক্ষুব্ধ হবেন।’

Source link

Related posts

প্রকাশ্যে মহড়া দেওয়া সেসব অস্ত্র কোথায়?

News Desk

একই মোটরসাইকেলে থাকা স্বামী-স্ত্রী ট্রাকচাপায় নিহত 

News Desk

বাড়ির ছাদে বনসাই রাজ্য, এক গাছের দাম লাখ টাকা

News Desk

Leave a Comment