Image default
বাংলাদেশ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নতুন করে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে নির্ধারিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে মানুষের স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় প্রত্যাশা সংগঠনের আয়োজনে মরহুম আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর স্মরণসভায় শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, কোনো আন্দোলনের মুখেই জনগণের জীবন নিয়ে অবহেলা করবে না সরকার। ডা: দীপু মনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকারের সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাসময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৩ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগের ধারাবাহিকতায় আগামী ১২ জুন পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে। বাসায় থেকে তারা টেলিভিশন ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত থাকবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের বাসায় অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

এর আগে বুধবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া‌ হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনার ওপর।

তিনি বলেন, ১২ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকছে, ১৩ জুন থেকে সেগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে।

এর আগে তিনি বলেন, যদি ১৩ জুন স্কুল-কলেজগুলো খুলে দিতে পারি সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি ব্যাচকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তারা হয়তো সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাসে আসবে। যারা ২০২২ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে ক্লাসে নিয়ে আসা হবে। অন্যদের বিষয়ে সপ্তাহে হয়তো এক দিন ক্লাসে আনা হবে।

Related posts

বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক তারসহ ৫ চোর গ্রেফতার

News Desk

বরখাস্তের ২ মাস পর তথ্য বাতায়ন থেকে সরলো কর্মকর্তার নাম

News Desk

‘সোহরাওয়ার্দীতে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি, কিন্তু তাদের গন্ডগোলের উদ্দেশ্য’

News Desk

Leave a Comment